১৯৮০-র ২৪ জুলাই । 'উত্তম'-হারা হয়েছিল বাংলা এই দিনেই । অভিভাবককে হারিয়েছিল বাংলা সিনে জগত । আজ ২০২৩, ২৪ জুলাই । প্রায় ৪৪ বছরের ব্যবধান । এতগুলো বছরে, বদলেছে বাংলা সিনেমার ধারা, বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে আরও কত নায়ক এসেছেন, কিন্তু, উত্তম কুমারের মতো কেউ হতে পারেননি । 'মহানায়ক'-এর সঙ্গে যে কারও তুলনাই চলে না ।
তাঁর সেই ভূবন ভোলানো হাসিতে আজও মুগ্ধ বাঙালি । সেই রোম্যান্টিক চাউনির অমোঘ আকর্ষণ কি এড়ানো সম্ভব? তাই তো আজও তিনি সমানভাবেই প্রাসঙ্গিক ।
আজ উত্তমকুমারের ৪৩ তম প্রয়াণদিবস (Uttam Kumar Death Anniversary) । তাঁকে স্মরণ করছে গোটা বাংলা । সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করলেই দেখা যাচ্ছে তাঁকে নিয়ে পোস্ট । কেউ তাঁর সিনেমার ক্লিপিংস শেয়ার করছেন, কেউ আবার উত্তমের এভারগ্রিন গানগুলো শেয়ার করছেন । বর্তমান প্রজন্মকেও মুগ্ধ করেছেন তিনি । উত্তম ম্যাজিক হয়তো একেই বলে ।
যদিও, নায়ক থেকে মহানায়ক হওয়ার যাত্রাটা ততটা সহজ ছিল না তাঁর । কেরিয়ারের প্রথম ৭টি ছবি পর পর ফ্লপ হয়েছিল । 'ফ্লপ মাস্টার' বলা হতো তাঁকে । কিন্তু, তাঁর যে মহানায়কের প্রতিভা ছিল । কোনওভাবেই আটকে রাখা তাঁকে সম্ভব ছিল না । বাংলা চলচ্চিত্র জগতে মোট ২১১ টি ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। শুধু অভিনয়, পরিচালনাও করেছেন তিনি । তাঁর কেরিয়ারের কয়েকটি হিট সিনেমার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল হারানো সুর, পথে হল দেরি, সপ্তপদী, চাওয়া পাওয়া ইত্যাদি । হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি ।
১৯৮০ সালে ওগো বধু সুন্দরী চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণের সময় উত্তম কুমারের স্ট্রোক হয় । পরে তাঁকে বেল ভিউ ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ২৪ জুলাই ৫৩ বছর বয়সে তিনি মারা যান।