ফিরে এলেন না ঐন্দ্রিলা শর্মা। লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রার্থনাকে মিথ্যে করে চিরঘুমে ডুব দিলেন অভিনেত্রী। শনিবার রাত থেকেই অবস্থার অবনতি ঘটেছিল। দুবার মারণরোগ ক্যানসার থাবা বসিয়েছিল অভিনেত্রীর শরীরে। মৃত্যুর আগের দিন ১০ বার হৃদরোগের ধাক্কা। লড়তে লড়তে যেন ক্লান্ত হয়েই কার্যত বিদায় নিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। গোটা লড়াইতে ঐন্দ্রিলার 'ছায়াসঙ্গী' হয়ে ছিলেন প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী।
রবিবার দুপুরে মৃত্যু হয় ঐন্দ্রিলার। তারপর থেকেই থমথমে সোশ্যাল মিডিয়া। নিশ্চুপ টলিপাড়া। কিছুতেই যেন কেউ মানতে পারছেন না এই নির্মম সত্যি। খবর পেতেই হাসপাতালে ঐন্দ্রিলাকে শেষ দেখা দেখতে আসেন তাঁর সহকর্মী, ভক্ত, অনুরাগীরা৷ কান্নায় ভেঙে পড়েন কেউ কেউ৷ কিছুক্ষন আগেই হাসপাতাল থেকে নিযে যাওয়া হয় ঐন্দ্রিলার মরদেহ।
২৪ বছরের ফাইটারকে কুর্নিশ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অভিনেত্রীর অকালপ্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেন তিনিও। মুখ্যমন্ত্রী এদিন ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে লেখেন, "প্রতিশ্রুতিময়ী তরুণী অভিনেত্রীর বয়স হয়েছিল মাত্র ২৪ বছর। তাঁর অভিনীত টিভি সিরিয়াল ঝুমুর, মহাপীঠ তারাপীঠ, জীবনজ্যোতি, জীবনকথা, জিয়নকাঠি...ইত্যাদি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে এবছর 'অসাধারণ প্রত্যাবর্তন' বিভাগে টেলিসম্মান অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে।"