দেশরে সবচেয়ে বড় বিয়েবাড়ি বলে কথা। এই বিয়েবাড়ির গ্ল্যামারে কার্যত চোখ ঝলসে যাওয়ার জোগাড়। এ বলে আমায় দেখ, তো ও বলে আমায়। আগে সাজগোজ বলতে কেবল মহিলাদের কথাই বোঝানো হত, কিন্তু সে যুগ এখন বাসী। এই বিয়েতে রাধিকার সঙ্গে সঙ্গে সাজে তাক লাগিয়েছেন অনন্ত আম্বানিও। বিয়ের নানা অনুষ্ঠানে একেক রকম সেজেছিলেন অনন্ত। সবচেয়ে চর্চায় উঠে এসেছে অনন্তের ব্রোচের কালেকশন, যা রীতিমতো প্ৰশংসনীয়।
গোটা বিয়ের মরশুমে অনন্ত যে ব্রোচগুলি পরেছিলেন, ভাল করে দেখলে তার একটা বিশেষত্ব লক্ষ্য করা যাবে। প্রতিদিন একেকটি আলাদা আলাদা ব্রোচ পরেছেন অনন্ত, আর প্রত্যেকটি একেকটি বন্যপ্রাণীর মোটিফ।
'বনতারা'
আসলে অনন্ত আম্বানি খুবই পশুপ্রেমী। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ, তাদের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে অনন্তের একটি নিজের উদ্যোগ ‘বনতারা’। নিজের বিয়েতেও ধারাবাহিকভাবে এই পশুপ্রীতি বজায় রেখেছেন অনন্ত।
লায়ন বা সিংহ ব্রোচ:
বিখ্যাত মার্কিন গহনা ডিজাইনার লরেন শোয়ার্টজের তৈরি করা এই সিংহের ব্রোচটি একটি প্রিওয়েডিং অনুষ্ঠানে পরেছিলেন অনন্ত। ঠাসা হলুদ হীরে দিয়ে কাজ করা এই ব্রোচটির দুই চোখে বসানো দামি পান্না। ব্রোচটির জিভেও ঝুলছে একটি দামি হীরে। প্রায় ৫০ ক্যারাট হীরে দিয়ে এই ব্রোচটি ডিজাইন করা হয়েছে পশুপ্রেমের কথা মাথায় রেখে।
হাতি ব্রোচ:
বিয়ের দিন ‘লগন’ অনুষ্ঠানের জন্য রওনা দিয়েছিলেন অনন্ত, তখন তাঁর পরনে ছিল একটি কমলা রঙের এক শেরওয়ানি। সঙ্গে তিনি পেয়ার করেছিলেন একটি হাতির ব্রোচ। ঠাসা হীরের কাজ করা এই হাতির ব্রাশটি তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৪ কোটি টাকা।
রয়াল বেঙ্গল টাইগার ব্রোচ:
সঙ্গীত অনুষ্ঠানে বরমশাই সেজেছিলেন সোনার কাজ করা নীল রঙা একটি গলাবন্ধ জ্যাকেটে। সেই জ্যাকেটের বুকের বাঁদিকেই শোভা পেয়েছিল একটি রয়াল বেঙ্গল টাইগারের ব্রোচ। চুনির উপর ঘাড় বেঁকিয়ে বসানো রয়েছে একটি বেঙ্গল টাইগার, যা সম্পূর্ণ তৈরি সোনা এবং প্ল্যাটিনাম দিয়ে।
প্যান্থার ব্রোচ:
৭২০ ক্যারেট পান্নার উপর বসে একটি ব্ল্যাক প্যান্থার। এমনই একটি চোখ ধাঁধানো ব্রোচ অনন্ত পরেছিলেন বিয়ের দিন।
প্যান্থার ডি কার্টিয়ার ব্রোচ:
অনন্তের সংগ্রহে রয়েছে আরও একটি বিশেষ ধরণের কার্টিয়ার ব্রোচ। জাতীয় তৈরি প্যান্থার মোটিফে। বহু মূল্যবান এই ব্রোচে ৬০৫টি হীরে, ৪টি পান্না, ৫১টি পোখরাজ খচিত রয়েছে। এর বিশেষত্ব হল, এই প্যান্থারটির মাথা যেদিকে খুশি ঘোরানো যায়, ভারতীয় মুদ্রায় এর দাম প্রায় ১৩ কোটি টাকা।