বিগত কয়েক দিন ধরেই আলোচনায় রয়েছেন ভারতীয় কিংবদন্তি সুরকার এ আর রহমান। সদ্য ২৯ বছরের দাম্পত্য ভেঙেছে রহমান এবং সায়রা বানুর। সম্পর্কে চিড় ধরার প্রসঙ্গে বারবার উঠে এসেছে এক বঙ্গ তনয়ার নাম। জোর চর্চার মধ্যে প্রকাশ্যে দেখা গেল অস্কারজয়ী সুরকারকে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখও খুললেন রহমান।
৫৫ তম গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মঞ্চ আলো করেছিলেন রহমান। সেখানেই কিংবদন্তী লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন সুরকার। জানান, নাইটেঙ্গেল অফ ইন্ডিয়ার কাছ থেকে প্রশংসা কুড়নো খুব সহজ ছিল না। সারা দুনিয়া যে রহমানের সুরের যাদুতে মুগ্ধ, সেই রহমান বলেছেন, সুর সম্রাজ্ঞী বড়ই খুঁতখুঁতে ছিলেন। নিজেই এত হাই স্ট্যান্ডার্ড সেট করে দিয়েছিলেন, প্রশংসা পাওয়ার জন্য রীতিমতো কাঠখড় পোড়াতে হত এআরকেও।
২৯ বছরের দাম্পত্য ভাঙা নিয়ে রহমান এবং সায়রা দুজন নীরব ছিলেন। রহমানভক্তদের অনেকেই বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে টেনে নিয়ে আসেন এক বঙ্গ তরুণীর নাম, মোহিনী দে। অবশেষে মোহিনী নীরবতা ভেঙেছেন। এ আর রহমানের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক তাঁর, খোলসা করেছেন তাঁর ব্যান্ডের এককালীন বেসিস্ট মোহিনী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে মোহিনীকে বলতে শোনা গিয়েছে, " আমার জীবনে পিতৃতুল্য রোল মডেল অনেকেই রয়েছেন। এআর তাঁদের মধ্যে অন্যতম। রহমান প্রায় আমার বাবার বয়সি, বাবার থেকে সামান্য ছোট। আমাদের দুজনের মনেই দুজনের জন্য অগাধ শ্রদ্ধা রয়েছে। আমি এআরের সঙ্গে, ওর ব্যান্ডে বেসিস্ট হিসেবে দীর্ঘ সাড়ে আট বছর কাজ করেছি, তারপর পাঁচ বছর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে এসেছি"।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলেছেন মোহিনী, বলেছেন, সময়টা যন্ত্রণার, এই মুহূর্তে একটু আড়াল, একটু সহানুভূতি চেয়ে নিয়েছেন।
ভারতের একমাত্র অস্কারজয়ী সুরকারের ডিভোর্স ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে মোহিনীর নাম উঠে এল কেন? ঘটনার সূত্রপাত কীভাবে? সায়রা বানু যেদিন জানালেন, তাঁর বিচ্ছেদের কথা, একই দিনে মোহিনীও সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন তাঁর বৈবাহিক সম্পর্ক ভাঙছে। মিল কেবল এটুকুই। এর পর দুইয়ে দুইয়ে চার করা, মোহিনীর সোশ্যাল মিডিয়ার ছবি ভিডিয়ো রাতারাতি ভাইরাল হওয়া ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা।
রহমান-সায়রার মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি মোহিনীই, এমন গুজব ছড়ানোর পরেও বেশ কয়েকদিন চুপ ছিলেন বঙ্গ তরুণী। বরং এর মাঝে মোহিনীর নাম সরাসরি উল্লেখ না করে গুজবে কান দিতে বারণ করেন সায়রা বানু নিজে, রহমানে আইনিজীবী, রহমান-সায়রার সন্তানরা।