তাঁর গলায় জাদু আছে, আর সেই জাদুতে মেতে আসমুদ্র হিমাচল। অরিজিৎ সিং নিজেই এখন একটা ব্র্যান্ড নেম। অথচ, স্টারডমের ধারধারেন না জিয়াগঞ্জের 'ঘরের ছেলে'। তার সহজ বাচার ধরনে মুগ্ধ শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর ছবিতে গান গেয়েছেন অরিজিৎ সিং। পারিশ্রমিক নিতেই চাননি, জোর করা হলে নিজে ১১ টাকা রেখে বাকি টাকা দান করেছেন একটি বাচ্চাদের স্কুলে।
মাত্র এক দশকের সামান্য বেশি সময় ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন অরিজিৎ। এরই মধ্যে বলিউড-কে উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট গান। বলিউডের পাশাপাশি বাংলাতেও তাই। অথচ কী অদ্ভুত অনাড়ম্বর যাপন শিল্পীর। আনন্দবাজারকে দ্দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শ্রীজাত, বাড়িতে এসি চালানোর অভ্যেস নেই অরিজিৎ সিং-এর। পরিচালকের বাড়িতে এসে তাঁকেও এসি বন্ধ করতে বাধ্য করেছিলেন, পরিবেশের ক্ষতি হবে বলে।
আত্মপ্রচারের যুগে দাঁড়িয়ে তিনি বরাবর উল্টো পথে হাঁটেন। বলিউডের প্রথম সারির গায়কদের তালিকায় একেবারে ওপরের দিকে থেকেও শিকড়ের প্রতি তাঁর অমোঘ টান। অরিজিৎ জীবনে সফল হয়েছেন, নাম পেয়েছেন, খ্যাতি করেছেন, কিন্তু ব্যস্ততা একটু কমলেই মুম্বই ছেড়ে ফিরে এসেছেন জিয়াগঞ্জে। পাড়ায় আড্ডা মারেন, বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে যান। গানের পাশাপাশি, এই 'মাটির মানুষ' ইমেজও তাঁকে দিয়েছে আলাদা পরিচিতি, বরাবর।