দূরত্বে প্রেমের প্রলেপ। দিন কয়েক আগে থেকেই বিতর্ক মাথাচারা দিয়েছিল তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে। যিশু-নীলাঞ্জনা, ঋষি কৌশিক-দেবযানীর সঙ্গেই বেজায় জল্পনা চলছিল সৃজা সেন ও অর্জুন চক্রবর্তীর সম্পর্কের অবস্থা নাকি বিশেষ ভাল নেই। তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতিতে অর্জুন-সৃজার সম্পর্কে দূরত্ব বেড়েছে বলে শোনা গিয়েছিল।
যদিও সেই সময় অভিনেতা জানিয়েছিলেন, এমন কোনও ঘটনায় তাঁদের মধ্যে ঘটেনি। তাঁদের সম্পর্কের বয়স ১৮, একসঙ্গে অনেক চড়াই উৎরাই পার করেছেন তাঁরা। ভাল খারাপের সাক্ষী থেকেছেন দুজন দুজনের। ‘তুমি আছ আমি আছি’। এমন ক্যাপশন লিখে সৃজার সঙ্গে আদরমাখা একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেন অর্জুন।
সঙ্গে তাঁদের একটি লম্বা গল্পও বললেন অর্জুন,
“আমাদের প্রি-বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল বের হওয়ার পরে এবং আমি আগের মতো ভালো ছিলাম, আমাদের ক্লাস টিচার ম্যাম শেখর বলেছিলেন "কেউ তোমাকে টেনে তুলেছে"। তিনি স্পষ্টতই একটি নির্দিষ্ট নতুন মেয়ের কথা উল্লেখ করেছিলেন যে আগের বছর আমাদের স্কুলে যোগ দিয়েছিল এবং উভয় শিক্ষাবর্ষে ক্লাসে প্রথম হয়েছিল।আমি সেই বিবৃতিটিকে সম্মানের ব্যাজ হিসাবে নিয়েছিলাম, কিন্তু অন্যরা তা নেয়নি।”
‘ভালবাসি’ স্বীকার করে নিয়ে অর্জুন আরও লেখেন, “প্রায় দুই দশক পরে, আমি বুঝতে পারি যে এটি আমার টানার শুরু ছিল। হ্যাঁ আমার ক্লাসের নতুন মেয়ে, প্রশ্ন করা মেয়েটি আমাকে টেনে নিয়েছিল। একজন শিক্ষক যেমন একজন ছাত্রকে উপদেশ দেওয়ার জন্য টেনে নেন, যেমন একজন সেরা বন্ধু একজন সেরা বন্ধুকে টেনে নিয়ে যান যখন তারা দেখেন যে তারা তাদের বিপথে যাচ্ছে, যেমন একজন স্ত্রী যে তার স্বামীকে টেনে আনে কারণ সে চায় তাকে নিজের সেরা সংস্করণ হতে।”
অর্জুন আরও লিখলেন, ‘সেই দিনটির জন্য তোমায় ধন্যবাদ, তারপর থেকে প্রতিদিনের জন্য তোমায় ধন্যবাদ। তুমি হওয়ার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। আঠারো বছরের ভালবাসা এবং একতার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। আমাকে সবসময় উপরে তুলে ধরো। আমি তোমাকে ভালোবাসি’
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগেই বঙ্গসম্মেলনে যোগ দিতে মার্কিন মুলুকে গিয়েছিলেন অর্জুন। তাঁর সঙ্গে যাননি স্ত্রী সৃজা। শোনা গিয়েছিল, সেখানে এক বঙ্গনায়িকার সঙ্গে বেশ ওঠা বসা করেছিলেন অর্জুন। তবে এবিষয়ে প্রশ্ন করলে তা উড়িয়ে দেন অর্জুন। ফিরে এসে স্ত্রীয়ের সঙ্গে বেশ কিছু ছবিও পোস্ট করেছিলেন অর্জুন।