সবসময় হাই প্রোফাইল লাইফস্টাইল মেনে চলতেন বিদিশা দে মজুমদার (Bidisha De Mazumdar) । আয়ের থেকে ব্যয় বেশি করতেন । কিন্তু, ইদানিং তাঁর হাতে খুব একটা কাজ ছিল না । আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন । তার ফলেই তীব্র অবসাদ । বিদিশা দে মজুমদারের মৃত্যুর ঘটনায় এমনই তথ্য উঠে এল পুলিশের হাতে ।
নাগেরবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে, বিয়েবাড়ি কিংবা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কোনও অনুষ্ঠানে মডেল হিসেবে কাজ করতেন বিদিশা (Bidisha De Mazumdar death) । এছাড়া, মাঝে মাঝে ফোটোশুটও চলত । মডেলিং থেকে খুব বেশি রোজগার হত না । এদিকে, বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন । মাঝখানে বিয়ের মরসুম না থাকায় হাতে কাজও সেভাবে ছিল না । একদিকে, আর্থিক সংকট অন্যদিকে প্রেমে প্রত্যাখান । এই দুই কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বিদিশা । উচ্চাকাঙ্খাই তাঁর জীবনে সর্বনাশ ডেকে এনেছে । এমনটাই মনে করছে তদন্তকারীরা ।
আরও পড়ুন, Manjusha Niyogi Death:অতিরিক্ত উচ্চাশাই ডেকে আনল বিপদ, দাবি মঞ্জুষার পরিবারের
বুধবার রাতে নাগেরবাজারের রামগড় কলোনির একটি ফ্ল্যাট থেকে বিদিশার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় । ২১ বছর বয়সি মডেল বিদিশা আত্মহত্যা করেছেন না কি তাঁর মৃ্ত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখছে নাগেরবাজার থানার পুলিশ ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে বিদিশার দেহ । ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল । বিদিশার দেহের পাশ থেকে মিলেছে একটি সুইসাইড নোটও ।
এদিকে, বিদিশার মৃত্যুতে নাম জড়িয়েছে অনুভব বেরার । বিদিশার শরীরচর্চার প্রশিক্ষক ছিলেন অনুভব বেরা । বিদিশার পরিচিতদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিদিশার সঙ্গে অনুভবের প্রেমের সম্পর্ক ছিল । অনুভবের জন্যই বিদিশা পৈত্রিক বাড়ি ছেড়ে আলাদা থাকতেন । যদিও, এই দাবি অনুভব অস্বীকার করেছেন । তাঁর দাবি, বিদিশার সঙ্গে তাঁর শুধুমাত্র বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল ।