দাদা সাহেব ফালকে অভিনেত্রী আশা পারেখ। মঙ্গলবার একথা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। চার দশক পর ভারতীয় সিনেমার এই সর্বোচ্চ সম্মান পেলেন কোনও মহিলা অভিনেত্রী। এর আগে ১৯৮৩ সালে হিন্দি ও মরাঠি সিনেমায় অবদানের জন্য দাদা সাহেব পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল দুর্গা খোটেকে।
১৯৫২ সালে ভারতীয় সিনেমায় অভিষেক আশা পারেখের। তখন তিনি শিশু শিল্পী। প্রথম ছবি মা। পরিচালক বিমল রায়। ১৯৫৯ সালে নায়িকা আশার অভিষেক। প্রথম ছবি গুঞ্জ উঠা সানহাই। এরপর গুজরাতি পরিবার থেকে বড় হওয়া এই মেয়ের শুধুই সাফল্যের কাহিনি। শাম্মি কাপুর, রাজেশ খান্না, দেব আনন্দের মতো তারকার বিপরীতে দাপট অভিনেত্রী আশা পারেখের। নাসির হোসেন, শক্তি সামন্তদের মতো পরিচালকরা এক সময় আশা পারেখ ছাড়া কাউকেই ভাবতে পারতেন না। অমিতাভ বচ্চন কখনও তাঁর হিরো হননি। কিন্তু ১৯৮১ সালে কালিয়া ছবিতে অমিতাভের বৌদির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আশা পারেখ। আর সেটাই ছিল দু জনের একমাত্র ছবি।
তিনি অভিনেত্রী, আবার পরিচালকও। বলিউডের প্রথম অভিনেত্রী, যিনি ১৯৯৯ সালে অবসরের কথা ঘোষণা করেছিলেন। ১৯৭১ সালে প্রথম ফিল্মফেয়ার। ২০০২ সালে ফিল্ম ফেয়ার তাঁকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট। ১৯৯২ সালে তিনি পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন। সেন্সর বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারপার্সনও আশা পারেখ। সিনেমার বাইরেও একটা ভূমিকা আছে তাঁর জীবনে। কাজ করেন মানুষের জন্য়। তাই দুঃস্থদের জন্য় তৈরি করেছেন হাসপাতাল।