'মেড ফর ইচ আদার'। তাঁদের সঙ্গে এই তকমাটাই জুড়েছে বারবার । টলিউডের অন্যতম 'হ্যাপি কাপল' বলেই মনে করা হয় তাঁদের । চলতি বছরেই ধূমধাম করে ২০ বছরের বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করেছিলেন । বছরের পর বছর এভাবেই ভালবাসায় বেঁধে বেঁধে থাকার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছিলেন । তাঁদের 'হ্যাপি মোমেন্ট' ভাগ করে নিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় । কিন্তু, এখন তাঁদের সম্পর্কে শুধুই 'মন ভাঙা' যন্ত্রণার সুর । কথা হচ্ছে যিশু সেনগুপ্ত ও নীলঞ্জনাকে নিয়ে । বেশ কয়েকদিন ধরেই ইন্ডাস্ট্রি অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছিল, টলিউডের পাওয়ার কাপলের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে । সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যিশুর পদবী মুছে সম্পর্ক ভাঙনের জল্পনাকে আরও উস্কে দিলেন নীলাঞ্জনা ।
বিয়ের পর থেকে যিশুর পদবী 'সেনগুপ্ত' ব্যবহার করতেন নীলাঞ্জনা । কিন্তু, এখন থেকে তিনি শুধুই নীলাঞ্জনা । তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি অন্তত তাই বলছে । শুধু তাই নয়, যিশুর সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া নেওয়া একাধিক রোম্যান্টিক মুহূর্তের ছবি ডিলিট করেছেন নীলাঞ্জনা । তাহলে কি সত্যিই তাঁদের সম্পর্কে চিড় ধরল ? কারণ কি তৃতীয় ব্যক্তি ?
জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাজের সূত্রে মুম্বইয়ে যাওয়া-আসা বেড়েছে যিশুর । সেখানেই নাকি অন্য কাউকে মন দিয়ে ফেলেছেন অভিনেতা । সেই তৃতীয় ব্যক্তি কোনও অভিনেত্রী নন । তবে, তাঁকে নিয়েই নীলাঞ্জনা-যিশুর সংসারে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে । দু'জনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে । যদিও, যিশু বা নীলাঞ্জনা কেউই বিচ্ছেদের জল্পনার বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি ।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নীলাঞ্জনা । টলি অন্দরের খবর, নার্ভাস ব্রেকডাউনের কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন । হাসপাতাল থেকে ফিরে মন খারাপের পোস্টও করেছিলেন তিনি । নীলাঞ্জনা লিখেছিলেন, 'এই বছরটা জুড়ে থাকল একের পর এক হারানো, একটার পর একটা ক্ষতিতে, একের পর এক যুদ্ধে । কঠিন সময় জীবনের আসল রং দেখতে পেলাম । দেখলাম, ভেঙে পড়লেও তা সুন্দর থাকা যায়, জানলাম আমায় ভালবাসার এবং ঘিরে রাখার কত মানুষ আছেন, আমার জীবনের শক্তির স্তম্ভ, হৃৎস্পন্দন হল সারা, জারা, এবং চন্দনা । তোমাদের ভালোবাসি। যাঁরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন তাঁদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ । এই কঠিন সময় পেরিয়ে ফিরে আসার জন্য একটু সময় নিচ্ছি ।'
অনুরাগীরাও চাইছেন নীলাঞ্জনা দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরুন । তবে, যিশুর সঙ্গে । বিচ্ছেদ বা আলাদা নয়, তাঁদের যে একসঙ্গে দেখতেই অভ্যস্ত সকলে ।