৪৮ ঘণ্টা । গোটা দুইদিন স্তব্ধ ছিল টলিপাড়া । বুধবার থেকে পুরনো ছন্দে ফিরেছে । শুরু হয়েছে ধারাবাহিক, সিনেমা, সিরিজের শুটিংও । আবারও সেই ব্যস্ততা, আবারও শুরু লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের হাঁকডাক । কিন্তু, এখনও থমকে এসভিএফ-এর পুজোর ছবির শুটিং । জানা গিয়েছিল,কয়েকদিনের মধ্যে শুরু হবে সিনেমার শুটিং । কিন্তু, টলিপাড়ার জট কাটলেও, পরিচালক ও ফেডারেশনের মধ্য়ে দ্বন্দ্ব মিটলেও রাহুল ইস্যুতে জয় কাটেনি এখনও । ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভর করছে পরিচালক হিসেবে কাজ করবেন কি না রাহুল মুখোপাধ্যায় । ৫ অগাস্টই জানা যাবে ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত ।
টলিপাড়া সূত্রে খবর, পুজোর ছবির শুটিং ১৪ অগস্ট থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর, একমাসের মধ্যে শেষ করতে চাইছে । এদিকে, আউটডোর শুটিং পর্বটাও নাকি বেশ বড় বলে জানা গিয়েছে । অথচ, এখনও শুটিং শুরু করা সম্ভব হয়নি । এছাড়া, টলিপাড়়া সূত্রে খবর, শুটিং পিছিয়ে যাওয়ায় ডেট নিয়েও সমস্যা হচ্ছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের । তবে, তিনি ডেটে সামঞ্জস্য আনার চেষ্টা করছেন বলে খবর । টলিপাড়া অন্দরের খবর, ৫ অগাস্টে ফেডারেশনেক সিদ্ধান্তের পরই শুটিংয়ের ফাইনাল তারিখ ঘোষণা করা হবে ।
উল্লেখ্য, ফেডারেশনকে না জানিয়ে বাংলাদেশে শুটিং করতে গিয়েছিলেন পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায় । এমন অভিযোগ উঠতেই রাহুলের উপর শুটিংয়ের নিষেধাজ্ঞা জারি করে ডিরেক্টর গিল্ডস । যদিও পরে তথ্য, প্রমাণ যুক্তির ভিত্তিতে তা তুলে নেওয়া হয় । গত শনিবার কাজে ফেরেন রাহুল । তারপর থেকেই শুরু ঝামেলার সূত্রপাত । কর্মবিরতির ডাক দেন টেকনিশিয়নরা । রাহুল ফ্লোরে থাকলে, শুটিংয়ে তাঁরা থাকবেন না বলে জানিয়ে দেন । বিষয়টা ভালভাবে দেখেননি পরিচালকরা । তাঁদের দাবি, অপমান করা হয়েছে তাঁদের । প্রকাশ্যে আসে ফেডারেশন-পরিচালকদের দ্বন্দ্ব । বারবার বৈঠকে বসেও সমাধানসূত্রে বের করতে পারেননি কোনও পক্ষ । জল এতদূর গড়ায় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয় । মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যস্থতায় কাটে জট । তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কাউকে ব্যান করা যাবে না । নবান্ন সূত্রে খবর, ফেডারেশনের নিয়ম নিয়ে একটা রিভিউ কমিটিও গঠন করা হয়েছে ।
কিন্তু, এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যখন জানিয়ে দিলেন কাউকে ব্যান করা যাবে, যখন সব সমস্যা মিটিয়ে দিলেন তিনি, তাহলে এখনও কেন রাহুলের ভাগ্য ফেডারেশনের হাতে থাকল ? হয়তো এর উত্তর মিলবে ৫ অগাস্ট ।