এডিটরজি রেটিংঃ ৩.৫/৫
পরিচালক : সঞ্জয় লীলা বনশালী
অভিনেতা : আলিয়া ভাট, শান্তনু মহেশ্বর, বিজয় রাজ, সীমা পাওয়া, অজয় দেবগন, জিম সর্ভ
সঞ্জয় লীলা বনশালির (Sanjay Leela Bhanshali) ছবি। তাই ছবিতে চোখ ধাঁধানো সিনেম্যাটোফ্রাফি থাকবে, জমকালো সেট থাকবে, ছবি মিউজিক্যাল হবে, ছবি নিয়ে মামলা মোকদ্দমা হবে, এ সবই চেনা ছবি। গাঙ্গুবাই কাথিয়াবাড়ি (Gangubai Kathiawadi) তেও এ সবের অন্যথা হয়নি। এ ছবি, গঙ্গার গাঙ্গুবাই হয়ে ওঠার গল্প বলে। এস হুসেইন জায়দির উপন্যাস 'মাফিয়া কুইন্স অফ মুম্বাই' থেকে অনুপ্রাণিত এই ছবি।
সঞ্জয় লীলা বনশালির ট্রেডমার্ক মেনেই এ ছবিতেও প্রথম ১৫ থেকে ২০ মিনিট দর্শকদের লেগে যাবে ছবির চরিত্রদের চিনিতে। গাঙ্গুবাইয়ের প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার আপনি হলে গিয়ে ছবির দেখার সিদ্ধান্ত কতটা ঠিক ছিল, সেই প্রশ্নও করবেন, কারণ বেশ কয়েক জায়গায় মিসিং লিঙ্ক থাকায় খাপছাড়া মনে হতে পারে। তবে দ্বিতীয়ার্ধজুড়ে টানটান উত্তেজনা। তবে ছবির দৈর্ঘ্য একটু বেশি-ই, পরিচালকের বাকি সব ছবির মতোই।
সারা-জাহ্নবী-ভূমি একের পর এক বলিউড অভিনেত্রী হয়েছেন সুকেশের নিশানা
এ ছবিতে আলিয়া ভাট (Alia Bhatt) অনবদ্য। গাঙ্গুর চরিত্রে মিশে যেতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি আলিয়া। ছবির গল্পে ফাঁক থাকতে পারে, চিত্রনাট্য নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে আপনার, কিন্তু আলিয়ার পারফরম্যান্সে চাপা পরে যায় সে'সব।
গাঙ্গুর প্রেমিকের চরিত্রে শান্তনু মহেশ্বরী (Santanu Maheswari) একমুঠো ঠাণ্ডা হাওয়ার মতো সতেজ। সীমা পাহোয়া, জিম সার্ভ, সকলেই নিজের নিজের চরিত্রে যথার্থ। ক্যামিও রোলে অজয় দেবগন চমকে দেন। তবে হুমা কুরেশি তেমন ছাপ ফেলতে পারলেন না। বিজয় রাজ স্বাভাবিক ভাবেই দারুণ, তবে তাঁর স্ক্রিন প্রেজেন্স বড্ড কম।
নতুন নতুন চরিত্রদের যাওয়া আসা কিঞ্চিৎ খাপছাড়া। সাবপ্লটের ঘনঘটা ছবির ছন্দ কিছুটা হলেও নষ্ট করেছে। তবে গাঙ্গুর জীবনের নানা দিক পর্দায় ফোটাতেই বোধহয় এত কিছু।
আলিয়ার গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ির নাম বদলের নির্দেশ, বিপাকে বনশালি
গাঙ্গুবাই কাথিয়াবাড়ি! একটাই নাম, তবে গাঙ্গু একা নয়, এ ছবি আসলে অনেক অনেক গাঙ্গুর গল্প বলে, সেই আবেগ ছবিতে ফোটাতে এর চেয়ে ভালো ভাবে খুব সম্ভবত, আর কোনও পরিচালক পারতেন না। ছবির সংলাপে অদ্ভুত সংযম রয়েছে, এক চুলও অতিনাটকীয় নয়।
তবে হাম দিল দে চুকে সনম, দেবদাস, রামলীলা, পদ্মাবত একটু হতাশ করলেন ছবির সংগীত পরিচালনায়। ছবির গান, আবহ সংগীত তেমন মন ছুঁতে পারল না।
সব মিলিয়ে অবশ্য হলে গিয়ে দেখার মতোই ছবি। আলিয়ার অভিনয় দেখার মতো, সঞ্জয় লীলা বনশালির পরিচালনা দেখার মতো, ছবির সেট দেখার মতো, আর গাঙ্গুর গল্প তো অবশ্যই শোনার মতো।