প্রত্যহ গান শোনার মধ্য দিয়ে একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানো শুরু করেন সদ্য কৈশোরে পা দেওয়া মানিক (Satyajit Ray) ও বিজয়া। ১৯৪০-এর দশকে বাঙালি সমাজে প্রেম করে বিয়ের ব্যাপারটা এখনকার মতো এতটা সহজ ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই দুই পরিবারকে মানিয়ে নেওয়ার প্রশ্নে রীতিমত সমস্যার সম্মুখীন হন এই যুগল। সত্যজিৎ আর বিজয়া। বন্ধুত্ব, সম্পর্ক, ভালবাসা। একে অপরের মধ্যে পূর্ণতা খুঁজে পাওয়া। কিন্তু বিয়ে? তা যে প্রায় অসম্ভব!
বিজয়ার থেকে বয়সে বেশ ছোট হওয়ার পাশাপাশি একে-অপরের দূরসম্পর্কের আত্মীয় ছিলেন সত্যজিৎ (Satyajit Ray) ও বিজয়া (Bijaya Ray)। স্বভাবতই সেইসময়ে বিয়ের তিলমাত্র সম্ভাবনাও না থাকায় তাঁরা কখনও বিবাহ না করার সিদ্ধান্ত নেন প্রাথমিকভাবে। এর মধ্যেই ছায়াছবির জগতে পা দেন বিজয়া। মুম্বই চলে যান সত্যজিতের তৎকালীন প্রেমিকা। জানা যায়, প্রেমপত্র লেখার পাশাপাশি প্রেমিকার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য বারেবারেই নাকি মুম্বই যেতেন সত্যজিৎ (Satyajit Ray 101)।
আরও পড়ুন: শুধু সিনেমাতেই নয়, গ্রাফিক ডিজাইন বা সিনেমার পোস্টার ডিজাইনেও সত্যজিৎ ছিলেন পথিকৃৎ
দীর্ঘ ৮ বছর প্রেমের পর চুপিসারে বিয়ে করেছিলেন সত্যজিৎ রায় এবং বিজয়া রায় (Bijaya Ray)। মুম্বই আদালতে সম্পর্ককে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছিলেন তাঁরা। গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন বিজয়ার বোনের বাড়িতে ১৯৪৯ সালের ২০ শে অক্টোবর। খুব ছোট করে সেই অনুষ্ঠান হয় যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত অভিনেতা এবং তাদের নিকট বন্ধু পৃথ্বীরাজ কাপুর। ১৯৪৯-এর ৩ মার্চ ফের কলকাতায় ব্রাহ্মমতে বিয়ে হয়।
পরে, বিজয়া রায় এই প্রসঙ্গে তাঁর আত্মজীবনীতে রসিকতা করে লিখেছিলেন, ‘যেখানে একবার বিয়ে হওয়ারই কোনও সম্ভাবনা ছিল না, সেখানে দু’বার হল।’