থেমে গেল অবিরল সুরের মূর্চ্ছনা। গত প্রায় আট দশক ধরে যাতে মুগ্ধ ছিল গোটা ভারত। ৯২ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন লতা মঙ্গেশকর। তাঁর মৃত্যুতে আক্ষরিক অর্থেই চোখের জল বাঁধ মানছে না কোটি কোটি ভারতবাসীর। আবেগপ্রবণ অগণিত বাঙালিও। তাঁকে স্মরণ করার পাশাপাশি তাঁর গাওয়া অজস্র সুপারহিট বাংলা গানগুলিকেও যেন ফের ভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্পর্শ করছেন তাঁর শ্রোতারা ।
প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ''এক মঞ্চে গাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। একবার মেদিনীপুরে এবং একবার দুর্গাপুরে গেয়েছিলাম। বলেছিলেন, এখনও গান গাইতে উঠলে নাকি হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায় ওঁর...একবার একটা গান শেষ করে ফিরে এলেন। জিজ্ঞাসা করলেন- 'হৈমন্তী, ঠিক গাওয়া হয়েছে তো? কী বলব, বুঝে উঠতে পারিনি"।
প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র স্মৃতিচারণে বলেছেন, 'আমি তখন উনিশ কি কুড়ি, ঘোর লেগে গিয়েছিল গ্র্যান্ড হোটেলে একটি রিহার্সালে। বম্বে ও কলকাতার স্বনামধন্য প্রায় আশি-নব্বই জন মিউজিশিয়ানের মাঝে বসে সং ভায়োলিন বাজাচ্ছিলাম। অবশ্যই পাঠক বুঝে নিতে পারেন, সলিল চৌধুরী নাইট হবে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। আজও মনে পড়ে, ঠিক পাশে বসেও আমি তাঁর কণ্ঠ শুনতে পাই না, কণ্ঠে যেন বাঁশি বেজে যায়…'
শিল্পী লোপামুদ্রা মিত্রের মতে, লতা মঙ্গেশকরের কোনওদিন মৃত্যু হয় না । তাঁর মতো শিল্পীর কোনওদিন মৃত্যু হতে পারে না । অন্যদিকে, ইমন চক্রবর্তী কবিতায় স্মরণ করেছেন লতা মঙ্গেশকরকে । সোশ্যাল মিডিয়ায় লতা মঙ্গেশকরের একটি ছবি পোস্ট করে ইমন লিখেছেন, "আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে।/তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে ।"