'সে এক রূপকথারই দেশ', কিন্তু ফাগুন সেথায় হঠাৎই শেষ হয়ে গেল৷ চিকিৎসকরা ভগবানকে ডাকতে বলেছিলেন আগে থেকেই। তবুও সব্যসাচী চৌধুরীর বিশ্বাস ছিল একটা মীরাকেল হবেই। ঐন্দ্রিলার হাসপাতালে শুয়ে শেষ ২০ দিনের লড়াইয়ে খাওয়া ঘুম ভুলে পাশে ছিলেন সব্যসাচী চৌধুরী। যেন সিনেমা। 'অক্টোবর' সিনেমার সেই দৃশ্য, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে লড়ছে 'শিউলি', বাবা মা ধরেই নিয়েছে এ যাত্রায় আর ফিরবে না সে। কিন্তু আশা ছাড়েনি 'ড্যান'। ঠায় লড়ে গিয়েছিল সে। সেবারেও সিনেমায় মীরাকেল হয়নি৷ এবারেও হল না। ২৪ বছরে সমস্ত প্রার্থনাকে মিথ্যে করে চলে গেলেন 'ফাইটার' ঐন্দ্রিলা।
'অক্টোবর'এ শেষ হয়েছিল শিউলির লড়াই, নভেম্বরে ঐন্দ্রিলার৷ পরিচালক সুজিত সরকারের 'অক্টোবর' সিনেমার চিত্রনাট্যের বাস্তবের নায়ক নায়িকা যেন সব্য-ঐন্দ্রিলাই৷
ঐন্দ্রিলার লড়াই থেমে গেল বড্ড তাড়াতাড়ি। সদ্য ফোটা একটা ফুল ঝরে গেল অকালেই। সদ্য প্রয়াত অভিনেত্রীর গল্পটা এখন কম বেশি সকলেরই জানা। আট থেকে আশি সকলের মুখে ঐন্দ্রিলার লড়াইয়ের কথা। আর তারই সঙ্গে ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচীর কথা। ঐন্দ্রিলা শর্মা-সব্যসাচী চৌধুরী। টেলিপাড়ায় একটু কান পাতলেই শোনা যেত, ওরা সম্পর্কে আছেন। শুধু এটুকু বললে আসলে কিছুই বলা হয় না। ওরা বন্ধুত্বে ছিলেন, প্রেমে ছিলেন, ভালবাসায় ছিলেন। যে ভালবাসা আজকের দিনে বিরল, তেমনই একটা গল্প ছিল ওঁদের।