স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে চরম কটাক্ষের শিকার মধুমিতা সরকার । ক্যাপশনে দু'টো বানান ভুল লেখার জন্য
অভিনেত্রীকে 'অশিক্ষিত','কলঙ্ক'-এর মতো শব্দবাণে বিদ্ধ করেছেন টলি অভিনেতা ঋদ্ধি সেন । মধুমিতা শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে লম্বা একটি পোস্টও করেন ঋদ্ধি । যদিও পরে সেই পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছেন । তবে, এবার ঋদ্ধির কটাক্ষের কড়া জবাব দিলেন মধুমিতাও ।
বৃহস্পতিবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে মধুমিতা নিজের কয়েকটা ছবি পোস্ট করে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন । তবে, পোস্টের ক্যাপশনে দু'টি বানান ভুল লেখেন । একটা দিবসকে ভুলবশত 'দিবেস' লেখা আর ভারতবর্ষ-কে ভুলবশত ‘বর্শে’ লেখা । তারপরই মধুমিতার শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ঋদ্ধি । পোস্টে লেখেন- 'স্বাধীনতা দিবেস? ভারতবর্ষ বানান লিখতে জানে? ঘেন্না ধরে গেল!...স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস পেরিয়ে আজ ৭৮তম বছরে পৌঁছেও রক্তের দাগ মুছে ফেলা যাচ্ছে না। যে রাজ্যে এক চিকিৎসকের সাদা পোশাক ভেসে গেল রক্তে, সেই রাজ্যে এদের মতো অশিক্ষিত ব্যক্তি সাদা পোশাক পরে ওড়না উড়িয়ে দন্ত বিকশিত করে ভুল বানানে স্বাধীনতা দিবস পালন করার অভিনয় করছে। এরা কোনও দিনই শিল্পী ছিল না, ছিল না অভিনেতা। অভিনয় শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকতে গেলে সবার আগে প্রয়োজন সামাজিক সংযোগ, প্রয়োজন শিক্ষা। সমাজ , ইতিহাস, শিক্ষা, এই শব্দগুলো এদের কাছে ভিন্গ্রহী , অভিনয় মানে ভান করা নয়, অভিনয় মানে নিজের সর্বস্ব দিয়ে সত্যিটাকে খুঁজে বার করা। এরা আমাদের পেশায় কলঙ্ক। স্বাধীনতা দিবস নিয়ে বলার আগে নিজের ভণ্ডামি আর অশিক্ষা থেকে স্বাধীন হন, আমাদের কর্মক্ষেত্রও স্বাধীনতা চায় আপনাদের মতো অশিক্ষিত শিল্পীর কাছ থেকে।'
মধুমিতা একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে আর একবার ভিডিও বার্তায় ঋদ্ধির কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন । মধুমিতা তাঁর পোস্টে পাল্টা লেখেন, "আপনার শিক্ষা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলব না ঋদ্ধি। কারণ সেটা করলে আপনার পারিবারিক শিক্ষার উপর প্রশ্ন ওঠে। সেটা করতে চাই না। কারণ আপনার মা ধারাবাহিকে আমার মায়ের চরিত্রে পার্ট করেছেন। তাই যতটা নিচে ঋদ্ধি নেমেছেন, মধমিতা নামতে পারবেন না ।" উল্লেখ্য, ‘বোঝে না সে বোঝে না’ধারাবাহিকে মধুমিতা-র মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ঋদ্ধির মা রেশমি সেন ।
মধুমিতা ভিডিও বার্তায় বলেন, 'আমি যদি অবাঙালি হতাম, তাহলে এটা বলতে পারতেন। তবে একজন বাঙালি যে এটা লিখেছে, এটা যে টাইপো, সেটা একটু বুদ্ধি খরচ করলেই বোঝা যায়। আমার এবার আপনাদের বুদ্ধির উপর প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে, যে আপনাদের সত্যি জীবনে কি কোনও কাজ আছে, যে একটা দিবেস-র জন্য আপনারা একপাতা লিখছে? তবে আমি খুশি, কৃতজ্ঞ যে আমার জন্য আপনারা নিজের জীবনের এতটা মুহূর্ত, সময় নষ্ট করেছেন। '