পাঁচ দিনের বাংলা সফরে এসে দ্বিতীয় দিনে জেলায় জেলায় ঘুরলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। বার্ণপুর থেকে পুরুলিয়া যাওয়ার পথে এক গেরুয়া কর্মীর বাড়িতেই সারলেন মধ্যাহ্ন ভোজন।
বাড়িতে মিঠুন চক্রবর্তী এসেছেন, স্বাভাবিক ভাবেই আপ্লুত পদ্ম শিবিরের কর্মী। তরিবৎ করে কাসার থালায় পঞ্চ ব্যাঞ্জন সাজিয়ে খেতে দেওয়া হল মিঠুন দাকে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারেই এসেছেন তিনি । সূত্রের খবর, ২৩ তারিখ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার করবেন মিঠুন । কলকাতায় পা দিয়ে মিঠুন জানান, তিনি দলের সভাপতির নির্দেশে এখানে এসেছেন । প্রথম দিনেই,'এসএসসি দুর্নীতি' থেকে 'হিংসা'একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন মিঠুন ।
মিঠুনের কথায়, আগে বাংলাকে নিয়ে সবাই গর্ববোধ করত । কিন্তু, এখন বাংলার যা পরিস্থিতি, দুর্নীতিতে নম্বর ওয়ান । হিংসায় নম্বর ওয়ান । এখন বাংলাকে হারানো মুশকিল । বাংলার যে ইমেজ রয়েছে এখন, সেখান থেকে কী করে ফিরবে জানেন না । মিঠুনের কথায়, বাংলাকে নিয়ে এখন সবাই হাসাহাসি করে । এদিন চাকরিপ্রার্থীদে আন্দোলন নিয়েও মুখ খুললেন তিনি । আর এই পরিস্থিতিতে কেন তাঁদের পাশে বাংলার মানুষ নেই, সেই প্রশ্নই তুলেছেন তিনি । এদিন, মিঠুন বলেন, "কোনও পলিটিক্যাল সাপোর্ট না নিয়ে রাস্তায় বসেছে, আন্দোলন করছে, এটা অনেক বড় ব্যাপার। কোনও বিজেপি, সিপিএম বা কংগ্রেসের সাপোর্ট নেয়নি। কিন্তু, বাংলার মানুষের হল কী? যে বাংলাকে আন্দোলনের মুখ বলা হত, বিপ্লবের মুখ বলা হত সেই মানুষরা কোথায়? কেন পার্টিদের আসতে হবে? কেন লাগবে পার্টি?"
এদিন, সংবাদমাধ্যমেরও সমালোচনা করেন তিনি । বলেন, "ভোটের পরে যে হিংসা হয়েছে, সেটা কতটুকু দেখিয়েছে মিডিয়া? দেখালে আজকে এই জায়গাটা আসত না । একটা রাজ্যে কোনও মিডিয়াই ছিল না যারা এই হিংসাকে দেখাবে । ৫৯ জন মানুষকে খুন করা হয়েছে। ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে শেষ করে দিয়েছে । কিন্তু, এক-দুজন ছাড়া কোনও সংবাদমাধ্যম সামনে আসেনি ।" তিনি জানান, বিজেপির হয়ে নয়, সাধারণ মানুষ হয়েই একথাগুলি বলছেন তিনি । খুব শীঘ্রই জেলায় জেলায় নির্বাচনী প্রচারে দেখা যাবে মিঠুনকে ।