মার্ক টোয়েন(Mark Twain) একসময় বলেছিলেন, যে কোনও নিষিদ্ধ জিনিসের একটা ‘চার্ম’ আছে, যা তাকে সাধারণ মানুষের কাছে অদম্য করে তোলে। ‘কুকথার রাজা’ রোদ্দুর রায় ওরফে অনির্বাণ রায়ের(Roddur Roy arrested) গ্রেফতারি ঘিরে এখন সরগরম নেটপাড়া। তাঁর অনুরাগীরা আওয়াজ তুলছেন রোদ্দুর রায়কে ছেড়ে দিতে হবে। এদের একটা বড় অংশই তাঁর ভিডিওর নিয়মিত দর্শক।
মনোবিদদের মতে, সভ্যতার শুরু থেকেই উদ্ভট, অবিশ্বাস্য, নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি এই টান মানুষের স্বভাবজাত। আমজনতার বড় অংশের এই সুপ্ত ইচ্ছেকে পুঁজি করেই রোদ্দুর রায়দের (Roddur Roy update) রমরমা। তাঁদের আরও দাবি, গালিগালাজ দিয়ে নিজেকে আলাদা প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন রোদ্দুর রায়(Youtuber Roddur Roy)। আকষর্ণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকার নেশাতেই কুকথা। অশ্রাব্য ভাষার ভিডিও মানুষ হুমড়ি খেয়ে দেখতেন।
আরও পড়ুন- Roddur Roy Update : মুখে নেই কোনও গালিগালাজ, একেবারে শান্ত রোদ্দুর, পুলিশকে বোঝাচ্ছেন মোক্সাবাদ
চিকিৎসকদের কথায়, এটা হিউম্যান সাইকোলজির(Human Psychology) অন্ধকার দিক। যা পড়ে ফেলেছিলেন রোদ্দুর ওরফে অনির্বাণ রায়। রাস্তা কেউ কলার খোসায় আছাড় খেলে ভিড় জমে যায়। ট্রেনে কাটা পড়া দেহ দেখতে ধাক্কাধাক্কি পড়ে যায়। এই ভিড় থেকে কেউ সাহায্য করেন না। সবাই হাঁ করে দৃশ্যটা গেলেন। যেমনটা গিলতেন রোদ্দুর রায়ের ভিডিওতে(Moxa Poet Roddur Roy)। দু’আড়াই লক্ষ জনতা শুনতেন বিখ্যাত লোকেদের সম্বন্ধে তাঁর অশ্রাব্য ভাষা।