নতুন বছরে ‘আগমনী’।
এই সেই ‘আগমনী, তিলোত্তমার গল্প’ যা নিয়ে প্রায় ৫ মাস আগে এক চোরা বিদ্রোহের স্রোত বয়ে গিয়েছিল বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের অন্দরে। প্রেক্ষাপট আরজিকর। সরকারি হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সেই আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুক্তি পেয়েছিল একটি পোস্টার।
এক বঙ্গতনয়ার পরনে লাল পাড় সাদা শাড়ি। মাথায় বিয়ের মুকুট, কপালে লাল টিপ। শাড়ির উপর চিকিৎসকের এপ্রোন। ছবির পোস্টার ইঙ্গিত দিয়েছিল সাম্প্রতিক আরজিকরের প্রেক্ষাপটকে। মুখ্য চরিত্রে তৃণমূল যুবনেত্রী রাজন্যা হালদার। পরিচালক তৃণমূলের যুবনেতা প্রান্তিক চক্রবর্তী।
শুধু পোস্টারই যেন তৎকালীন সময়ে ভস্মে ঘি ঢেলেছিল। এরপর যা হয়েছিল, তা তৃণমূলের রাজনীতির ইতিহাসে এক নয়া দৃষ্টান্ত। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ। ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে লোকারণ্য। তৃণমূলের শহীদ মঞ্চে মাইক হাতে পাওয়া গিয়েছিল এক নতুন মুখকে। সেই মঞ্চে যে রাজন্যাকে দেখে রাজনৈতিক মহল তৃণমূল সুপ্রিমোর ছায়া দেখতে পেয়েছিল, সেই রাজন্যাকেই সাসপেন্ড করল দল। বাদ গেলেন না প্রান্তিকও। বাতিল হয় ছবি মুক্তিও।
৫ মাস পর…
‘আগমনী’ আসছে। শরতে নয়, ভরা শীতে। তবে এবার আর ইউটিউব নয় এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি আসছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘ক্লিক’এ। ৮ জানুয়ারি এই ছবি মুক্তি পাবে। আরজি কর কাণ্ডের জেরে শহর জুড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেই ভয়াবহতাই ফুটে উঠবে এই ছবিতে।
এই প্রসঙ্গে রাজন্যা জানিয়েছেন, 'আগমণী তিলোত্তমাদের গল্প শর্টফিল্মটির জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল আমাকে এবং প্রান্তিক চক্রবর্তীকে। তবে আমি এক্ষেত্রে মনে করি আমি আগেও যা বলেছি, এখনও তাই বলছি এই শর্টফিল্মের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। দুটোকে এক করা বৃথা চেষ্টা।'