মডেল বিদিশা দে মজুমদারের মৃত্যু নিয়ে রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। এবার তাঁর মৃত্যুর কারণ খুঁজতে তাঁর ঘনিষ্ঠ চার বন্ধুকে ডেকে পাঠাল পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, বিদিশার সম্পর্কের টানাপোড়েন সহ তাঁর শেষ কয়েকদিনের গতিবিধি সম্পর্কেও প্রশ্ন করা হবে ওই চার বন্ধুকে। বুধবার সন্ধেবেলায় নাগেরবাজারের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় মডেল বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ। তারপরই তদন্তে নামে নাগেরবাজার থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, বিদিশার ঘর থেকে তাঁর মৃতদেহের পাশে রাখা ডায়েরি থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। ডায়েরিটি আপাতত পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ফোনের কললিস্টও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কেরিয়ার নিয়ে চিন্তার কারণেই বিদিশা আত্মহত্যা করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তার পাশাপাশি পুলিশ বিদিশার ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়টিও যাচাই করে দেখতে চাইছে।
চারবছর ফ্যাশন দুনিয়ায় রয়েছেন বিদিশা।ফ্যাশন শ্যুটের পাশাপাশি নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন তিনি। ফলে, অর্থাভাব তাঁর ছিল না। শেষের দিকে কাজের চাপে পড়াশোনাতেও মন দিতে পারতেন না! এমনটাই জানা গিয়েছেন সদ্য মৃত মডেলের ঘনিষ্ঠদের সূত্রে। সাফল্য যাঁর প্রায় মুঠোয়, হঠাৎ তিনি কেন জীবন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন? তাঁর ঘনিষ্ঠদের একাংশ বলছেন, পল্লবী দে'র মতো তাঁরও নাকি সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। সম্প্রতি কাছের এক জনকে বলেছিলেন, ‘‘পল্লবীর মতো ফুরিয়ে যেতে ইদানীং আমারও খুব ইচ্ছে করে!’’
বিদিশা-ঘনিষ্ঠদের দাবি, বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি অবসাদগ্রস্ত ছিলেন। কাজে ততটা মন ছিল না বলে জানা তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে।