প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো করা নিয়ে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (পিইউটিএমসিপি) ‘‘পুজো করে দেখিয়ে" দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়লেও, সেখানে টিএমসিপির রাজ্য সম্পাদক সুপ্রিয় চন্দ্রের নাকি 'জোর করে পুজো করায়' সমর্থন নেই।
প্রেসিডেন্সিতে সরস্বতী পুজোর দাবিতে একটি দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট করেছিল পিইউটিএমসিপি। পোস্টের মূল বক্তব্য ছিল, শিক্ষাঙ্গনে ধর্মনিরপেক্ষতার দোহাই সরস্বতী পুজো করতে দেন না কর্তৃপক্ষ। পিইউটিএমসিপির এই ফেসবুক পোস্টের জবাবেই সামাজিক মাধ্যমে একটি পাল্টা পোস্ট করেন সুপ্রিয় চন্দ। টুইটার এবং ফেসবুকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে লিখেছেন, ‘‘হঠাৎ সেখানে প্রতিমা পূজা করার জন্য জিদ অশোভন।’’
এই পোস্ট প্রসঙ্গে সুপ্রিয় একটি সংবাদ্মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের সাথে এ সব মানায় না। সরস্বতী পুজো নিয়ে রবীন্দ্রনাথ, সুভাষচন্দ্র বসুর সময় থেকেই এটা বহু পুরনো বিতর্ক। আমি চাই না, কেউ জেদ করে বসে থাকুক। এটা করা উচিত নয়। ফলে আমার প্রতিবাদ আমার মতো করে জানিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সংস্কৃতির সঙ্গে যা যায় না, আমি তার বিরোধী।’’
প্রেসিডেন্সির ২০০ বছরের ইতিহাসে কখনই ক্যাম্পাসে কোনওরকম সরস্বতী পুজো হয়নি। ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্তে দীর্ঘ কয়েক দশক সায় দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। তবে এই যুক্তি মানতে নারাজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাঁদের যুক্তি, 'সংবিধানে বলা আছে প্রত্যেকে নিজেদের আচার অনুষ্ঠান পালন করতে পারলেই, তাকে ধর্ম নিরপেক্ষতা বলে।' গত বৃহস্পতিবার প্রাঙ্গণে সরস্বতী পুজো করার অনুমতি চেয়ে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তারপর থেকেই শুরু হয় অশান্তি।