'ভরা বাদর...শূন্য মন্দির মোর'... গানের কথাটা যেন আজ বড্ড প্রাসঙ্গিক । সত্যিই শূন্য করে দিয়ে গেলেন তাঁর মন্দির । নাকতলার বাড়িটায় আজ শুধুই নিস্তব্ধতা । বাড়ির বাইরে পুলিশের ভিড় । রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় করছেন প্রতিবেশীরা । দূর দূর থেকে বাড়ির সামনে ভিড় করেছেন ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা । শেষবারের মতো শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে এসেছেন তাঁরা । হঠাৎ সেই ভিড়ের মধ্যেই শোনা গেল রশিদ খানের কণ্ঠ, তাঁর গান । দেখা গেল এক প্রতিবেশীর হাতে রেডিও, সেখানেই বাজছে শিল্পীর জনপ্রিয় সব শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ।
নাকতলার বাসভবনের পাশেই রশিদ খানের গানের স্কুল । বহু ছাত্রছাত্রী ওস্তাদ রশিদ খানের কাছে গানের তালিম নিতেন । কেউ ১০ বছর শিখেছেন, কেউ ৬ বছর । গুরুর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ তাঁরা । অনেক ছাত্রছাত্রী না আসতে পারলেও, তাঁর অভিভাবকেরা ছুটে এসেছেন । তাঁদের মনে পড়ে যাচ্ছে, সেই দিনগুলোর কথা, যখন রশিদ খানের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁদের ছেলে-মেয়েরা যেতেন, সরস্বতী পুজোতেও বড় করে অনুষ্ঠান হত ।
শিল্পীর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ পাড়া-প্রতিবেশীরাও । এক প্রতিবেশী জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা গান শুনছেন । পাড়ায় একটা সবসময় গানের পরিবেশ ছিল । রশিদ খান যে আর নেই, আর যে তাঁর গান শোনা যাবে না, এটা তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না ।