শিক্ষক দিবসের রাত দখল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ফের জন মানুষে ভরে গিয়েছিল রাজ্যের রাজপথ। গান, কবিতা এবং নাটকের মাধ্যমে প্রতিবাদ চলেছে, কোথাও মিছিলে । রাত ৯টা বাজতেই আঁধারে ঢাকে শহর থেকে জেলা । জুনিয়র ডাক্তারদের আহ্বানে ঘরের আলো নিভিয়ে মোমবাতি, প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রতিবাদে সামিল হল ছোট থেকে বড় সকলেই । এই কর্মসূচিতে সামিল হতে গিয়েই অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
প্রবল জনরোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে । ঋতুপর্ণাকে ব্যাঙ্গ করে উলু ধ্বনি, শঙ্খধ্বনি দেওয়া হয় । তাঁর উদ্দেশে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও ওঠে । এরপরই গাড়িতে উঠে সেখান থেকে বেরিয়ে যান ঋতুপর্ণা । তবে, গাড়িতে ওঠার পরও নিস্তার পাননি । ঋতুপর্ণার গাড়িতে রীতিমতো ধাক্কা দেন আন্দোলনকারীরা । তাঁর গাড়ির কাঁচে ধাক্কা দিয়ে চলে গো ব্যাক স্লোগান । উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় শঙ্খ বাজিয়ে আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা । সেই নিয়ে কম ট্রোলডও হননি । এবার রাস্তায় নেমে কটাক্ষের শিকার অভিনেত্রী ।
তবে এই ঘটনায় দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। টলিউডের একাংশের তারকারা রে রে করে উঠেছেন ঘটনার প্রতিবাদে। সুদীপ্তা, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের পাশাপাশি ঘটনায় ফুঁসে উঠেছেন জিতু কমল, দেবলীনা দত্ত, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের মতো তারকারা।
কমলেশ্বর লিখেছেন, “ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে এই অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সবাই আন্দোলনে সামিল হতে পারেন। কেউ কাউকে আটকাতে পারেন না।”
জীতু কমল লিখলেন, ”এটা ঠিক হচ্ছে না। দয়া করে এগুলো করে অতি-উৎসাহ দেখাবেন না।” ,
দেবলীনা দত্ত লিখলেন, ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে সবাই শারীরিক আক্রমণ করলেন ঋতুদিকে। দেবলীনা সঙ্গে আরও লিখলেন, ”যাঁরা ঋতুপর্ণাকে বাঁচাতে গিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে একজনের সিটি স্ক্য়ান হবে। আর আরেকজন গুরুতর আহত! আমি প্রত্যক্ষদর্শী।”
তবে একাংশের আন্দোলনকারীরা ঋতুপর্ণার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে সমর্থনও করেছেন। কেউ লিখছেন, ‘রেশন দুর্নীতিতে যুক্ত ঋতুপর্ণা রেশনের মাল ফেরত দিতে গিয়েছিলেন’ , কেউ বা পূর্ণ সমর্থন করেছেন তাঁকে ঘিরে দেওয়া গোব্যাক স্লোগানে।