আরজি করের ঘটনায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কর্মবিরতি চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের। আন্দোলনের ৩৫ দিনের মাথায় শনিবারন দুপুরে স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র দাক্তারদের অবস্থানে এসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর 'সমস্যা মেটানোর সদিচ্ছা নিয়ে প্রশংসা টলিউডের দুই প্রথম সারির ব্যক্তিত্ব সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের। প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনায় বিচারের দাবিতে পথে নেমেছিলেন দুজনেই।
পরবর্তী ছবি 'টেক্কা'র প্রোমোশনের মাঝে সৃজিত সাংবাদিকদের বলেন, এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সমস্যা মেটানোর আন্তরিক ইচ্ছে আছে। সেই চেষ্টাটাও তো দেশের অনেক জায়গায় হয়না। কোনো আলোচনায় হয়না। পাশাপাশি বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখতে বলে তিনি বলেন, 'আমাদের বিচারব্যবস্থায় আশা রাখতে হবে। প্রশাসনে আসা রাখতে হবে। এবং যেখানে যেখানে গাফিলতি হয়েছে ও প্রমাণিত ভাবে হয়েছে, সেই গাফিলতির দায় স্বীকার যাতে করা হয় সেই বিষয়ে দেখতে হবে।।'
গোটা ঘটনায় গণমাধ্যমের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সৃজিত। তাঁর মত, মিডিয়াকে সঠিক প্রশ্ন করতে হবে, এবং প্রশাসনের ওপর চাপ বজায় রাখতে হবে, ভুয়ো খবর ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন টলিউডের আরেক অভিনেতা পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, " ভারতবর্ষে এর আগে কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো পদাধিকারী কোনও নেতা-মন্ত্রী এমন পদক্ষেপ করেছেন বলে মনে পড়ছে না। মমতার এই পদক্ষেপকে পরমব্রত ইতিবাচক, প্রশংনীয় দৃষ্টান্তমূলক বলেছেন! পাশাপাশি অভিনেতা এও বলেছেন, “এই বৃত্ত তখনই সম্পূর্ণ হবে, যখন ধরনা মঞ্চে দাঁড়িয়ে ওঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ হবে। স্বাস্থ্যক্ষেত্র দুর্নীতিমুক্ত হলে তবেই সাধুবাদ দেওয়াটা সার্থক হবে।”
শনিবার বিকেলে WBJDF (West Bengal Junior Doctors' Front) -এর উদ্দেশে ১৫ জন প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়ে একটি মেল করা হয় মুখ্য সচিবের ইমেল আইডি থেকে। বৈঠকের স্থান হিসেবে মুখ্যমন্ত্রের বাসভবন উল্লেখ ছিল সেই ইমেলে। মেলে ১৫ জনের উল্লেখ থাকলেও ৩০-৩৫ জনের প্রতিনিধি দল নিয়ে পাঁচ দফা দাবি সমেত কালীঘাটে গিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, মাথায় হাত বুলিয়ে, ভয় দেখিয়ে ডাক্তারদের আন্দোলন তুলে নেওয়া যাবে না।