প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে শোক জ্ঞাপন করে ঋতুপর্ণা লিখেছিলেন, ‘নিজের আদর্শের প্রতি একনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। আমি তাঁকে প্রণাম জানাই। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মতো ব্যক্তিরা বিরল।’ নিজের বিয়ের একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন ঋতু। যেখানে এক ফ্রেমে বুদ্ধ বাবুর সঙ্গে তিনি। আর বুদ্ধবাবুরও বেজায় স্নেহধন্যা ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
বুদ্ধবাবুর দেহ ভস্ম হয়ে যায়নি। তিনি দেহ দান করে গিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই বুদ্ধবাবুর কর্নিয়া পেয়ে দুইজন চোখের দৃষ্টি ফিরে পেয়েছেন। শুক্রবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের দিকে ঋতু রওনা হলেও, ততক্ষণে বুদ্ধবাবুর গাড়ি বিরাট মানুষের মিছিলের সঙ্গে এগোচ্ছে নীলরতনের দিকে। সেই ভিড় ঠেলেই অভিনেত্রী ছুটে যান, তাঁর শোকজ্ঞাপনের জন্য গাড়ি কিছুক্ষণ থামেও।
এরপর ঋতু জানান, বুদ্ধবাবুর পথেই হাঁটবেন তিনি। তাঁর দেহ ভস্ম হতে দেবেন না। অভিনেত্রীর পিসি, পিসেমশাইও মরণোত্তর দেহদান করে রেখেছেন। এবার ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও সেই অঙ্গীকার নিলেন। তিনি জানান ,দাহ না করে দেহ দান করলে সেটা কোনও মৃত্যুপথযাত্রীকে জীবনের পথে ফেরাতে পারবে।