টানা ছ'দিন ধরে হাসপাতালের বেডে শুয়ে ঐন্দ্রিলা । আচ্ছন্ন, অসুস্থ, পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি । কিন্তু, তার মাঝেও এল সামান্য স্বস্তির খবর । ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়েছেন ঐন্দ্রিলা । অভিনেত্রীকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনা হতে পারে, এটা আগেই শোনা যাচ্ছিল । এবার সেই খবরে সিলমোহর দিলেন সব্যসাচী ।
ছ'দিনের লড়াইয়ে একভাবে ঐন্দ্রিলার পাশে থেকেছেন সব্যসাচী । সারা দিন-রাত হাসপাতালে পড়ে রয়েছেন একটা মানুষ । চোখে ঘুম নেই, চোখে তাঁর শুধুই ঐন্দ্রিলার সুস্থ হওয়ার অপেক্ষা । ছ'টা দিন কেমনভাবে কাটছে, কেমন আছেন অভিনেত্রী, সেই নিয়ে কিছু কথা ফেসবুকে লিখলেন সব্যসাচী । সব্যসাচী জানিয়েছেন, ঐন্দ্রিলার এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি । ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন । শ্বাসক্রিয়া, রক্তচাপও স্বাভাবিক । জ্বর কমেছে । ঐন্দ্রিলার মা মেয়ের ফিজিওথেরাপি করছেন । দিদি ও বাবা বারবার ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলছেন । আর সব্যসাচী ? ঐন্দ্রিলার সঙ্গে গল্প করেন অভিনেতা । নিয়ম করে দিনে তিনবার করে গল্প করেন । সাড়া আসে ঐন্দ্রিলার তরফেও । সব্যসাচীর কথায়,"গলা চিনতে পারে, হার্টরেট ১৩০-১৪০ পৌঁছে যায়, দরদর করে ঘাম হয়, হাত মুচড়িয়ে আমার হাত ধরার চেষ্টা করে । প্রথম প্রথম ভয় পেতাম, এখন বুঝি ওটাই ফিরিয়ে আনার এক্সটার্নাল স্টিমুলি ।"
এরপরেই সব্যসাচীর কলমে ঝড়ে পড়ে একরাশ বিরক্তি । সব্যসাচী জানান, তাঁর আজকাল কিছুই লিখতে ভাল লাগে না । তাঁর কথায়,"কিন্তু,আজ কিছু মানুষের বর্বরতা দেখে লিখতে বাধ্য হলাম । ইউটিউবের কল্যাণে কয়েকটা ভুয়ো ভিডিও আর ফেক থাম্বনেল বানিয়ে পয়সা রোজগার করা অত্যন্ত ঘৃণ্য মানসিকতার কাজ বলে আমি মনে করি, সেটা যে ওর বাড়ির লোকের মনে কেমন প্রভাব ফেলে তা হয়তো আপনারা বুঝবেন না। আমার চোখে ওর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেনি, অবনতি ঘটেছে মানবিকতার ।"
ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে ভয় রয়েছে 'সব্য'-র মধ্যেও । কিন্তু, কোথাও যেন তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস ঐন্দ্রিলা ফিরবে । সব্যসাচীর কলমে আবার দৃঢ় হল ঐন্দ্রিলার ফিরে আসা, লিখলেন, "'ভালো আছে’ বলতে আমার ভয় লাগে, কিন্তু ঐন্দ্রিলা আছে । প্রচন্ডভাবে আছে । আমার সামনে শুয়ে থেকেও হয়তো কয়েক সহস্র মাইল দূরে আছে" । কিন্তু, একদিন ঠিক ফাইটারের মতোই ফিরবেন ঐন্দ্রিলা । এ কামনা সকলের । ঐন্দ্রিলা শর্মা দ্রুত সুস্থতা কামনা করে এডিটরজি বাংলা ।