১৪ অক্টোবর, ২০১০। মুক্তি পেল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি 'অটোগ্রাফ'। একদম নতুন পরিচালক। নাম সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherji)। বাকিটা ইতিহাস। আজ সেই ইতিহাস তৈরির এক যুগ পার। নস্টালজিয়া আক্রান্ত বাঙালি আরও একবার আবেগে ভাসল আজ।
সকাল থেকেই সৃজিতের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে স্মৃতি রোমন্থন। ইন্ডাস্ট্রিতে যখন এসেছিলেন কোনও গডফাদার ছিল না। জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর করে চাকরি, তারপর হঠাৎ রাস্তা বদলে ফেলে সিনেমায় আসা। প্রথমে অপর্ণা সেনের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন কিছুদিন। অটোগ্রাফের জন্য বুম্বাদার কাছে পৌঁছনও খুব সহজ ছিল না, টলিপাড়ায় একেবারে নতুন মুখ, শোনা যায় নন্দনা সেনই নাকি প্রসেনজিৎকে সৃজিতের স্ক্রিপ্ট পড়তে রাজি করান।
অটোগ্রাফের পর একে একে ২২ শ্রাবণ, জাতিস্বর, চতুষ্কোণ, হেমলক সোসাইটি, একটার পর একটা হিট। ধারাবাহিক ভাবেই সৃজিত দর্শকদের উপহার দিয়েছেন অন্য ধারার বাংলা ছবি। তরুণ প্রজন্মকে বাংলা সিনেমায় হলমুখী করতে সৃজিতের যথেষ্ট অবদান।
Tips for good sleep: ঘুম কেড়েছে ঘুমহীনতা? জেনে নিন মুশকিল আসানের টোটকা
তবে, এ বছরটা যেন তারই, প্রায় প্রতি মাসে একটা করে নতুন রিলিজ, অথবা নতুন কোনও ছবির ঘোষণা করে চলেছেন সৃজিত। বাংলার গণ্ডী পেরিয়ে হিন্দি ছবি, ওটিটি সবেতেই তাঁর এখন অবাধ বিচরণ।