বাংলা চলচ্চিত্রের মায়েস্ত্রোদের তখন দাপট চলছে। গত শতকের ছয়ের দশক। সত্যজিৎ-ঋত্বিক-মৃৃণাল-তপন সিনহাদের পাশাপাশি ঠিক নিজের জায়গা করে নিলেন তরুণ মজুমদার (Tarun Majumdar)। কাউকে অনুকরণ করে নয়, বরং গড়ে তুললেন ছবি পরিচালনার নিজস্ব এক স্টাইল।
১৯৫৫-এ সত্যজিতের ‘পথের পাঁচালী’ দেখে দারুণ অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত পরিচালক।বুঝে গিয়েছিলেন বাংলা ছবি সাবালক হয়ে উঠছে, বুঝেছিলেন, আগের সমীকরণ কাজে দেবে না আর। সহজ কথাই বলতে হবে, আর সহজ ভাবেই বলতে হবে, ধরে ফেলেছিলেন তরুণ মজুমদার।
Tarun Majumdar films: হেমন্ত থেকে কণিকা, তরুণের সিনেমায় রবীন্দ্র-আবহ
গল্প বলার ধরনকে তিনি কখনও ছকে ফেলেননি। তাই তো তাঁর প্রথম ছবির নায়ক নায়িকা উত্তম-সুচিত্রা হলেও তৃতীয় ছবি কাঁচের স্বর্গ-এ নায়কের কোনও গ্ল্যামার নেই। তারপর একে একে পলাতক, নিমন্ত্রণ সবেতেই গল্প বলার সহজ ধরন। তরুণ মজুমদারের অধিকাংশ ছবিতেই নায়ক নায়িকারা যেন 'আমাদেরই লোক'।