আমি আপনার মা। মঙ্গলবার বিকেলের বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে দাঁড়িয়ে উস্তাদের রশিদ খানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে গলা কেঁপে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বেলা পৌনে চারটে নাগাদ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আকাশে দীপ নিভে গিয়েছে। প্রয়াত উস্তাদ রশিদ খান। এই খবরটাই যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না বাংলার প্রশাসনের সর্বময় কর্তা।
জয়নগর থেকে সোজা চলে আসেন এই বেসরকারি হাসপাতালে। পাশে দাঁড়ান রশিদ খানের পরিবারের। জানিয়ে দিলেন, বাবা হারালেও, ওরা অভিভাবক হারাননি। কারণ, এখন থেকে তিনি রশিদের পরিবারের অভিভাবক। তাই তাঁদের থেকে অনুমতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, মঙ্গলবার রশিদ খানের দেহ থাকবে পিস ওয়ার্ল্ডে। বুধবার বেলা নটা থেকে উস্তাদের গুণমুগ্ধদের জন্য দেহ শায়িত থাকবে রবীন্দ্র সদনে। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা বঙ্গবিভূষণ রশিদ খানের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
রশিদ কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথ যেন এখনও তাঁর কানে বাজছে। গায়কের মৃত্যুতে বিকেলে হাসপাতাল চত্বরে আগাগোড়া আবেগঘণ দেখাল মুখ্যমন্ত্রীকে। সোজসাপটা জানালেন, তাঁর ভাই আজ চলে গেল। থেকে গেল রশিদের উদাত্ত কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথ।