যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ। মাস তিনেক আগে লোকসভা নির্বাচনে রেকর্ড ভোটে জিতে সাংসদ হওয়া সায়নী শুরু থেকেই 'প্রতিবাদী' মুখ। এই মুহূর্তে সায়নী খবরে, তবে এবার প্রতিবাদ করার জন্য নয়, বরং চুপ থাকার জন্য। আরজি করের ঘটনায় বিগত এক সপ্তাহ ধরে গোটা বাংলা তোলপাড়। কিন্তু সায়নী ঘোষ প্রতিক্রিয়া দেননি, আরও একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের মতোই। আরও একটি কারণে খবরে এলেন সায়নী। তাঁরই লোকসভা এলাকার একটি পুজোর ‘মুখ’ হিসাবে এ বার দেখা যাবে যাদবপুরের সাংসদকে।
যাদবপুরের কেন্দুয়া শান্তি সংঘের পুজোর মুখ হচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সংগঠনের সভানেত্রীও। স্বাধীনতা দিবসে পুজো কমিটির তরফে পুজোর থিম-সহ শিল্পীদের নাম এবং পুজোর মুখ সামনে আনা হয়েছে। তার দিন কয়েক আগে থেকেই অবশ্য কলকাতা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের পুজোর হোডিং লাগিয়েছেন উদ্যোক্তারা। সেখানেই থিম ‘অনুনাদ’-এর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে সায়নীর মুখ।
এ বছর কেন্দুয়া শান্তি সংঘের পুজোর মঞ্চ শিল্পী সুশান্ত পাল। লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণার আগেই নাকি শিল্পী পুজোর মুখ হিসেবে সায়নীর নাম প্রস্তাব করেন পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের কাছে। প্রস্তাবে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছিলেন সায়নী। তবে রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে ওই সংক্রান্ত বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলেও জানান।
তবে কেন্দুয়া শান্তি সঙ্ঘের পুজোয় কিন্তু সায়নী একা নন, সরাসরি জড়িয়ে শাসক দলের আরও বেশ কিছু মুখ। পুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত কলকাতা পুরসভায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতক। ১০১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দ্বিতীয় বার কাউন্সিলর হয়েছেন তিনি। এছাড়া পুজোর আবহ সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে বালিগঞ্জের বিধায়ক রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী এবং গায়ক বাবুল সুপ্রিয়।