সোমবার থেকে অচল টলিপাড়া । মঙ্গলেও একই পরিস্থিতি । সব সিনেমা, সিরিয়ালের শুটিং বন্ধ । এদিকে, দফায় দফায় বৈঠকের পরও জট কাটছে না । সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দুইবার বৈঠক করে ডিরেক্টর গিল্ডস । দ্বিতীয় দফা বৈঠকের পর পরিচালকরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টায় তাঁরা নিরপেক্ষ তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ চাইছে । সেইসঙ্গে এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কাজ বন্ধ করার পক্ষপাতী নন তাঁরা ।
সোমবার সকালে প্রথমে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠক করেন পরিচালকরা । তারপরই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে পরিচালকদেরই কাঠগড়ায় তোলে ফেডারেশন । তাঁরা দাবি করেন, ষড়যন্ত্র করে শুটিং বন্ধ রাখা হয়েছে । কলাকুশলীরা কাজ বন্ধ করেনি । এরপর রাতে ফের সাংবাদিক বৈঠক করে ডিরেক্টরস গিল্ড পাল্টা দাবি করে, তাঁরা কাজ বন্ধ করেনি । চাপ দিয়ে কাজ বন্ধ করানো হয়েছে ।
কাজ বন্ধের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের উল্লেখ করেছিল ফেডারেশন । সেই প্রসঙ্গ টেনে পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বলেন, “আমরা কাজ বন্ধ রাখছি না। আমরা কাজ বন্ধ করিনি। এখন মুখ্যমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে আমরা কাজ বন্ধ রাখছি বোঝানো হলে, তা সম্পূর্ণ ভুল হবে।"
অঞ্জন দত্ত থেকে অনির্বাণ, ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী...প্রত্যেকরই একই বক্তব্য । এবার রোগ দূর করতে ডাক্তার প্রয়োজন তাঁদের । পরিচালকরা জানিয়েছেন, সিনেমার সঙ্গে যুক্ত অথচ আইন বোঝেন এমন কাউকেই তাঁরা চাইছেন । অবিলম্বে সমস্যার সমাধান চাইছেন পরিচালকেরা। তবে সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন পরিচালকরা ।