শ্রাবণের ২৩ তারিখ, রবি ঠাকুরের মৃত্যুদিনের ঠিক পরের দিনেই প্রয়াত বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর প্রয়াণে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। দলমত নির্বিশেষে তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন বিনোদন জগৎ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক জগতের অনেকেই।
বুদ্ধের মৃত্যু সংবাদে ভেঙে পড়েছেন, দেব, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত থেকে শুরু করে জিতু কমলরা। ঘাটালের সাংসদ তথা অভিনেতা দেব, বুদ্ধর প্রয়াণে লেখেন- একজন সত্যিকারের ভদ্র লোক, সত্যিকারের, রেস্ট ইন পিস স্যার’
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় লিখলেন, ‘একজন সত্যিকারের ভালো গুনী মানুষ চলে গেলেন ...ভালো থাকবেন .. বুদ্ধ বাবুর পরিবারের প্রতি রইল আমার আন্তরিক সমবেদনা।’ জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে তিনি কলকাতায় নেই. সূত্রের খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে খুবই ভেঙে পড়েছেন অভিনেতা।
শোকাতুর অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও। ঋতু জানান, তাঁর বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতিবসু এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। দুজনের আশীর্বাদ পেয়েছিলেন তিনি। ঋতুপর্ণার মতে, ‘নিজের আদর্শের প্রতি একনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। আমি তাঁকে প্রণাম জানাই। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মতো ব্যক্তিরা বিরল।’
জিতু কমল বরাবরই বুদ্ধপন্থী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে এসেছেন। জিতু লিখলেন,
‘সিপিআইএম রইলাম না আর,
বুদ্ধপন্থী বলে রইলো আমার পরিচয়।
সুবিধা অসুবিধা কোন কিছুই কিন্তু নিইনি কোনদিন।
তাই পল্টিবাজ ধাপ্পাবাজ চিটিংবাজ ভাষাজ্ঞান শূন্য মন্তব্য নাইবা করলেন সিপিআইএম।
আমার বন্ধু-আমার পথপ্রদর্শক-আমার ঈশ্বর
বিদায়। বিদায় বন্ধু বিদায়…’
বিজেপি নেত্রী তথা অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রী, সংস্কৃতিমনস্ক’ বুদ্ধদেবের কথা। তিনি জানান কোনও ভাল কাজ করলে বুদ্ধবাবু প্রশংসায় ভরিয়ে দিতেন, এবং কাজ খারাপ হলে মুখের উপরই বলে দিতেন, ‘অখাদ্য ছবি হয়েছে।’