এক বছর কাটল, বাংলা সিনেমা ‘তরুণহীন’ বাংলা চলচ্চিত্রকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছিলেন যে কিংবদন্তি পরিচালকরা, তাঁদের মধ্যে অন্যতম তরুণ মজুমদার। ২০২২ সালে আজকের দিনে ‘অভিভাবকহারা’ হয়েছিল বাংলা চলচ্চিত্র। বাস্তব জীবনের খুঁটিনাটি পর্দায় তুলে ধরার অপূর্ব মুন্সিয়ানা ছিল তাঁর। আজীবন বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী তরুণ বাবু ঘৃণা করতেন দলবদলকে।
বাংলা চলচ্চিত্রে নিজস্ব গল্প বলার ধরন নিয়ে এসেছিলেন তরুণ মজুমদার (Tarun Majumdar)। তার সঙ্গেই তুলে এনেছিলেন একঝাঁক নতুন মুখ। যাঁরা পরবর্তীকালে হয়ে ওঠেন বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়, রাখী গুলজার, মহুয়া রায়চৌধুরী, দেবশ্রী রায়, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ তরুণ মজুমদারের (Tarun Majumdar passed away) আবিষ্কার। ‘ফার্স্ট লুক’ থেকেই প্রত্যেক নায়িকাকে যত্ন নিয়ে তৈরি করতেন সন্ধ্যা রায় নিজে। অভিনয়ের প্রশিক্ষণও দিতেন তরুণ ও সন্ধ্যা-ই। যার ফলাফল সত্তর ও আশির দশকের একঝাঁক জনপ্রিয় ছবি। যা বাঙালির জীবনে ও মননে ওতপ্রোত হয়ে গিয়েছে।
Chanchal Chowdhury-Prasun Chatterjee: 'দোস্তজি'র পরিচালকের সঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী! মাস্টারপিসের অপেক্ষা শুরু
১৯৫৯ সালে ‘চাওয়া পাওয়া’ ছবি দিয়েই তাঁর পরিচালনায় হাতেখড়ি। এরপর একে একে ‘শহর থেকে দূরে’, ;বালিকা বধূ’, ‘পরশমনি’, দাদারকীর্তি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’ , ‘সংসার সীমান্তে’ এর মতো কালজয়ী নানা সিনেমার শ্রষ্টা তিনি। পরিচালকের একদম শেষ দিককার ছবি ‘আলো’ আজও চোখে লেগে রয়েছে বাঙালির। কালের নিয়মে মৃত্যু হয়েছে তাঁর কিন্তু চিরতরুণ হয়ে রয়েছে পরিচালকের কালজয়ী সব সিনেমা।