টানা ১৪ দিন । হাসপাতালের বেডে শুয়ে মরণ-বাঁচন লড়াই করছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা । তাঁর লড়াইয়ে সবসময় সঙ্গী বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী । সব্য, বারবার বলেছেন, ঐন্দ্রিলা ফাইটার, ও ঠিক ফিরে আসবে । সব্য-র কথায় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন ঐন্দ্রিলার অনুরাগী থেকে শুভাকাঙ্খী । কিন্তু, সোমবার রাতে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে সব্য-র পোস্ট দেখে উদ্বেগ আরও চারগুণ বেড়েছে । সব্যসাচী মিরাকল-এর জন্য প্রার্থনা করার অনুরোধ করে পোস্ট করেছিলেন । তারপর থেকেই ঐন্দ্রিলার সুস্থতায় প্রার্থনার জোর আরও বেড়েছে । সাধারণ মানুষ তো আছেনই, টলিউড তারকারাও ক্রমাগত ঐন্দ্রিলার জন্য প্রার্থনা করে চলেছেন । পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, জীতু কমল থেকে ছোট পর্দার অভিনেত্রী কাঞ্চনা মৈত্র, মিশমি দাস সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ফের সুস্থ, হাসি-খুশি ঐন্দ্রিলাকে ফিরে পাওয়ার প্রার্থনা করেছেন ।
পরমব্রত ব্যক্তিগতভাবে ঐন্দ্রিলাকে চেনেন না । কিন্তু, মেয়েটার শারীরিক অবস্থার খবর পেয়ে নিজেকে আটকে রাখতে পারেননি । মিরাকেলের ডন্য প্রার্থনা করে চলেছেন তিনি । সব্যসাচীর ভালবাসাকেও স্যালুট জানিয়েছেন পরম । তিনি লেখেন, "চলুন সবাই মিলে এই তরুণ মেয়েটির জন্য প্রার্থনা করি, সেই অভিভাবকদের জন্য প্রার্থনা করি যাঁরা মেয়েটির সঙ্গে লড়ে চলেছেন । আমি ব্যক্তিগতভাবে কাউকেই চিনি না । তবে ওদের লড়াইকে স্যালুট । যেভাবে সব্যসাচী মেয়েটির লড়াইয়ে সঙ্গ দিচ্ছে, নিজে লড়ছে, এটাই বিশুদ্ধ ভালবাসার সংজ্ঞা । মিরাকেলের জন্য প্রার্থনা করে চলেছি ।"
জিতু কমল সব্যসাচীর পোস্ট দেখার পরেই নিজের ডিপি বদলে ফেলেন । লেখেন,"ঈশ্বরকেও কখনও কখনও মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন…যে এই ছেলেটির নাম সব্য…।" অভিনেত্রী কাঞ্চনা মৈত্র সব্য-ঐন্দ্রিলার ভালবাসাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন । তিনি লেখেন, 'আজকের ধান্দাবাজ পৃথিবীতে এখনও তোমাদের ভালবাসা বাঁচতে শেখায় । তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ফিরে এসো ঐন্দ্রিলা ।'
অভিনেত্রী মিশমি দাস ফেসবুকে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে লম্বা পোস্ট করেছেন । পাশাপাশি ঐন্দ্রিলার সঙ্গে তাঁর ছবি পোস্ট করে লেখেন, ঐন্দ্রিলার সঙ্গে ২-৩ বছর, দু'টো শো-এ কাজ করেছেন । তাঁরা খুব কাছে বন্ধু নয় ঠিকই । তবে, তাঁরা অনেকটা সময় একসঙ্গে কাটিয়েছেন । শুটে গিয়ে রাতের পর রাত গল্প করেছেন । তখনই বুঝেছিলেন ঐন্দ্রিলা লড়াকু মেয়ে । মিশমি লেখেন, "লড়াই চালিয়ে যাও ঐন্দ্রিলা । আমার বিশ্বাস তুমি ফিরে আসবে । তুমি সবসময় লড়াকু ছিলে ।... তোমার হাসি শোনার অপেক্ষায় রয়েছি ।"