জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক, ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে ফলাফল। কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের তোড়জোড় জারি ছিল। কিন্তু অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর (Ritabhari Chakraborty) গর্ব পরমা, আয়েষা, অঙ্কনা, অভিষেক, অর্পণ, রূপঙ্কর, দীপ, তাপসীদের নিয়ে। আর ৫ জন সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পরীক্ষা দিয়ে সফল হয়েছে তাঁরা। শারীরিক প্রতিকূলতা রুখতে পারেনি তাঁদের। বিশেষভাবে সক্ষম এই পড়ুয়ারা ঋতাভরীর ‘আইডিয়াল স্কুল ফর দ্য ডেফ’ এর ছাত্র। অষ্টম শ্রেণি অবধি পড়া যায় এই স্কুলে, তারপর অন্য স্কুল থেকে মাধ্যমিক। ওদের অভিভাবক ও আপনজন হিসেবে গর্বিত অভিনেত্রী। তিনি জানান, ‘এই আনন্দ যে কোনও পুরস্কারের থেকে অনেক বড়।’
Drishyam : নয়া অবতারে 'দৃশ্যম', প্রথম ভারতীয় ছবির রিমেক এবার দক্ষিণ কোরিয়ায়
লম্বা পোস্টে ঋতাভরী আরও লেখেন, ‘ক্লাস এইটের পর ওদের অন্য স্কুলে যেতে হয়েছিল , যেখানে আর পাঁচজন স্বাভাবিক ছেলেমেয়েরা যায়। কারণ, আমাদের স্কুলটা মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ানোর অনুমোদন পায়নি। দুটো বছর ওরা সেই সব স্বাভাবিক স্কুলের পাঠ নিয়েছে, যেখানে মূক বধিরদের জন্য আলাদা কোনও ব্যবস্থা নেই।এ সত্বেও ওরা জীবনের প্রথম পাবলিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, সসম্মানে। তাই, ওদের অভিভাবক ও আপনজন হিসেবে আমি আরও বেশি আনন্দিত ও গর্বিত । আমি সকলের কাছে ওদের জন্য শুভেচ্ছা ও স্নেহাশীর্বাদ চাই।’