রবিবার ফের উত্তপ্ত টলিউড। কাজ করার স্বধীনতা নেই, অধিকার ছিল না নিজের মতো করে কাজ করার- এমন অভিযোগ জানিয়ে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন টলিউডের এক কেশসজ্জা শিল্পী। শনিবার রাতে ওই শিল্পীকে শেষ মুহূর্তে বাঁচায় তাঁর মেয়ে। অভিযোগ ওঠে অবসাদে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। ফের কর্মক্ষেত্রে এহেন পরিস্থিতির শিকার কেন হতে হল কেশসজ্জা শিল্পীকে, এই প্রশ্ন তুলেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, দামিনী বেণী বসু, সুদীপ্তা চক্রবর্তী ও সুদেষ্ণা রায়রা।
এই ঘটনা টলিউডের অশান্ত পরিবেশে আরও একটি ঘি ঢেলেছে। খবর পেয়েই হাসপাতালে যান পরিচালক সুদেষ্ণা রায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী, চৈতি ঘোষাল, মানালি দে, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়রা।
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে তাঁর ফেসবুকের পাতায় লিখেছেন, ‘ছাড়া হবেনা। কর্মক্ষেত্রে কোন রকম হেনস্থা আর হজম করা হবেনা। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে জমিদারী প্রথা বিলোপ হবার সময় হয়েছে। ‘
ক্ষোভ উগরে দিয়ে অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীও জানিয়েছেন, তাঁর হাত ধরেই ওই শিল্পী ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন। তিনি জানান, ‘সন্ধ্যেবেলা মেসেজ করে সাহায্য চেয়েছিল। ক্লাসে ছিলাম। সময়মত উত্তর দিতে পারিনি। নিজেকে ক্ষমা করতে পারছি না। কর্মক্ষেত্রে হেনস্থা কোন পর্যায়ে যেতে পারে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ এই মুহূর্তে আমার চোখের সামনে।’ এই নিয়ে ফেডারেশনকে ধিক্কারও জানান তিনি।
এই মুহূর্তে কেমন আছেন তিনি?
আনন্দবাজার অনলাইন সূত্রে খবর, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছেন, শনিবার গভীর রাতে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালের নির্দেশে হরিদেবপুর থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে ওই শিল্পীর পরিবারের তরফে।
এই প্রসঙ্গে ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস জানান, “অভিযোগ শুনেছি। বিষয়টি ‘সুরক্ষা বন্ধু’ কমিটি দেখছে। কমিটি পুরো বিষয়টি সম্পর্কে জানানোর পর যে পদক্ষেপ করা উচিত, সেটাই করব আমরা।”