দাদাসাহেব ফালকে পুরষ্কার পাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী । ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর অবদানের জন্য বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করা হচ্ছে তাঁকে । সোমবার সকালে এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব । বাঙালি হিসেবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পর দাদাসাহেব ফালকে পাচ্ছেন মিঠুন । ৮ অক্টোবর ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে বিশেষ সম্মান । শুভেচ্ছা বন্যায় ভাসছেন মহাগুরু । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কিংবদন্তী অভিনেতাকে । এত বড় সম্মান পেয়ে আপ্লুত মিঠুন চক্রবর্তী । তাঁর এই পুরস্কার পরিবার ও ভক্তদের উৎসর্গ করেছেন ।
কী বলছেন মিঠুন চক্রবর্তী
মহাগুরু বলেন, "আমার কাছে কোনও শব্দ নেই । আমি হাসতেও পাচ্ছি না, খুশিতে কাঁদতেও পাচ্ছি না । কলকাতার অন্ধ গলি থেকে উঠে আসা একটা ছেলে, মুম্বইয়ের রাস্তার ফুটপাতে লড়াই করেছি । কখনও কল্পনা করতে পারিনি, এতবড় একটা সম্মান পাব। এমন একটা সম্মান দিলে কে কী বলবে, কেউই কিছু বলতে পারে না।"
মিঠুন আরও বলেন, "আমি আক্ষরিক অর্থেই হতবাক। আমি শুধু এটাই বলতে চাই , এই পুরস্কার আমার পরিবার ও বিশ্বজুড়ে থাকা আমার অগণিত ভক্তকে উৎসর্গ করছি ।"
সোমবার সকালে অশ্বিনী বৈষ্ণব এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ভারতীয় চলচ্চিত্রে মিঠুনজি-র অসামান্য অবদান রয়েছে । তাঁর অসাধারণ সিনেম্যাটিক সফর সব প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মিঠুন চক্রবর্তীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন । এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, "শ্রী মিঠুন চক্রবর্তী জি ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর অতুলনীয় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মর্যাদাপূর্ণ দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন । ভীষণই আনন্দের খবর । তিনি একজন কালচারাল আইকন, তাঁর বহুমুখী প্রতিভার জন্য তিনি প্রশংসিত । তাঁকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।"
১৯৮৪ সালে দাদা সাহেব পেয়েছিলেন কিংবদন্তি সত্যজিৎ রায় । এরপর ২০০৩ সালে এই পুরস্কার পান পরিচালক মৃণাল সেন । ২০০৮ সালে সংগীত জগতে অবদানের জন্য পুরস্কার পেয়েছিলেন মান্না দে, ২০১১ সালে দাদা সাহেব পান সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘ কয়েক বছর পর, ফের বাংলাকে এই ঐতিহ্যবাহী পুরস্কার এনে দিচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী ।
দীর্ঘ ৪৮ বছরের কেরিয়ার মিঠুন চক্রবর্তীর । উত্তর কলকাতার গলিতে তাঁর বেড়ে ওঠা । তখন তিনি মিঠুন নয়, গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী বলেই ডাকত সবাই । কলকাতার সেই গৌরাঙ্গ একদিন হয়ে উঠল মিঠুন । ডিসকো ডান্সার মিঠুন । আশি-নব্বইয়ের দশকের তরুণীদের হার্টথ্রব ছিলেন । কলকাতা থেকে মুম্বই, যাত্রা সহজ ছিল না । অভিনয় দক্ষতা, শৈল্পিক দক্ষতায় আর অনেকটা লড়াই করে আজ দ্য মিঠুন চক্রবর্তী । এখনও সিনেমা করছেন । পুজোর সময়ই মুক্তি পাবে তাঁর বাংলা সিনেমা শাস্ত্রী ।