এক মাসে তিন তিনটে অস্বাভাবিক মৃত্যু শহর কলকাতায়। প্রথমে পল্লবী দে (Pallavi Dey), তারপর বিদিশা দে মজুমদার (Bidisha De Majumder), সব শেষে মঞ্জুষা নিয়োগী। তিনজনই বিনোদন জগতের পরিচিত মুখ। তিনজনই আত্মহত্যা করেছেন বলেই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। গ্ল্যামার দুনিয়া- বিলাসবহুল জীবন যাপন, কাজ হারানোর ভয়, ব্যক্তিজীবনের সংকট, মাত্রাতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্খা, তিনটি মৃত্যুতেই এসব প্রসঙ্গ উঠে আসছে বারবার।
পল্লবী এবং বিদিশার ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে তোলপাড় হয়েছে গোটা বাংলা। মঞ্জুষার খবর শুক্রবার সকালের। তাই মঞ্জুষাকে নিয়ে এখনও বহু তথ্য অজানা। তবু মঞ্জুষার মা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে বিদিশার ঘটনার পরই বারবার আত্মহত্যা করার কথা বলেছিলেন।
জামিন হল না, ৩০ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতেই পল্লবীর লিভ ইন সঙ্গী সাগ্নিক
মঞ্জুষা (Manjusha Neogi) নিয়মিত থিয়েটারে অভিনয় করতেন। মডেলিং করতেন। টিভি চ্যানেলে ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছেন। তবে টেলি দুনিয়ার তথাকথিত 'সফল' মুখ ছিলেন না। শেষ দিকে কাজও কমে আসছিল তাঁর। অভিনেত্রীর মা বলেছেন, সেই নিয়ে উদ্বেগ ছিল মেয়ের।
মাস ছ’য়েক আগেই এক পেশাদার চিত্রগ্রাহককে বিয়ে করেছিলেন। স্বামীর কোনও দোষ নেই বলে দাবি মায়ের। তবে দাম্পত্যে সমস্যা হচ্ছিল সম্প্রতি। মঞ্জুষার প্রাক্তন প্রেমিক তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন করতেন, এবং সেই সময়ে একবার আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী, জানিয়েছেন তাঁর মা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, জথেস্ত বিলাসবহুল জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন মঞ্জুষা। কাজ না পাওয়ায় হতাশাও গ্রাস করছিল সম্প্রতি। পাশাপাশি পল্লবী এবং বিদিশার মৃত্যু গভীর ভাবে প্রভাব ফেলেছিল তাঁর ওপর।