অতিমারি (Pandemic) শেষ হয়েও যেন হচ্ছে না! ইতিমধ্যেই তার পিঠোপিঠোই চলে এসেছে মাঙ্কিপক্স (Monkeypox) আর টম্যাটো ফ্লু। কিন্তু, এইসবের মাঝেই কাঁটার মত মাথা তুলে রয়েছে হার্টের অসুখ (Heart disease)। হৃদরোগ। সাম্প্রতিক অতীতে বহু সাধারণ মানুষের সঙ্গে যার শিকার হয়েছেন (Celebrities passed away for heart attack) একাধিক সেলেব্রিটিও। সেই তালিকায় নাম রয়েছে কেকে, সিদ্ধার্থ শুক্ল, রাজ কৌশল এবং দীপক ভানের মত তারকাদের।
সম্প্রতি, এই একই অসুখে প্রয়াত (Sonali Phogat passed away in heart attack) হলেন সোনালি ফোগতও। মাত্র ৪২ বছর বয়সী সোনালির মৃত্যুতে স্তম্ভিত সকলেই। সবথেকে অবাক করার মত ঘটনা হল, এই তারকাদের প্রায় সকলেই দারুণ ফিট ছিলেন। শরীর নিয়ে যত্নবান ছিলেন। শরীরে রোগভোগের তেমন কোনও চিহ্নই ছিল না। তা সত্ত্বেও,হৃদরোগের কামড় থেকে রক্ষা করতে পারেননি তাঁরা নিজেদের। আর এই ৪০ থেকে ৫০ বছর বা তার সামান্য বেশি বয়সে আচমকা মৃত্যু অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে তাঁদের জীবনযাপন পদ্ধতি, কাজের প্রকৃতি এবং দৈনন্দিন রুটিন নিয়েও।
আরও পড়ুন: তাঁর আমলে কোনও দুর্নীতি হয়নি, কলকাতা বিমানবন্দরে বললেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য
এখানেই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি উঠে আসে। তা হল, হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন যে কেউ। এই ক্ষেত্রে ২০ বছর বয়সী কারও শরীর আর ৬০ বয়সী কারও শরীরের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য নেই। যদি না তাঁদের জীবনযাপন পদ্ধতি ঠিকঠাক হয়। ২০১৯ সালে হার্ভার্ড হেলথের করা সমীক্ষা জানাচ্ছে, করোনারি আর্টারিতে ব্লকেজের কারণে হওয়া ৮০ শতাংশ হৃদরোগই ঘটে অল্প বয়সীদের শরীরে।
ধূমপান, মাদক সেবন, স্ট্রেসড লাইফ, রাতে ঠিকভাবে না ঘুমোনো, খাওয়াদাওয়া ঠিক সময়ে না করা এবং প্রচুর জাঙ্কফুড খাওয়ার মত নানাবিধ কারণ রয়েছে এর নেপথ্যে। তার সঙ্গেই রয়েছে ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণও। অর্থাৎ, জীবনযাপন পদ্ধতিতে লাগাম না পড়ালে আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে কোনও বয়সের মানুষই মুক্ত নন।