ফের তারকা মৃত্যুতে থমথমে বিনোদন জগত৷ রবিবার অভিনেত্রী বৈশালী ঠক্করের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ। মিলেছে একটি সুইসাইড নোটও। কিন্তু তবুও যেন দানা বাঁধছে রহস্য৷ তাঁর মৃত্যুর নেপথ্য কারণ ঠিক কী উঠছে প্রশ্ন। বাগদান সেরে সেই সুখবর নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত অভিনেত্রী বৈশালী ঠক্কর। কিন্তু পরে সেই সম্পর্ক আর ছাদনাতলা অবধি গড়ায়নি। বাগদানের পরেই ভেঙে যায় বিয়ে।
মাত্র ৩০ বছরেই সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছিলেন অভিনেত্রী। হাতে ছিল না কাজের অভাবও তবুও কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন অভিনেত্রী এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বৈশালীর পরিবার, বন্ধু-সহকর্মীদের মনে। কেনিয়ার দাঁতের চিকিৎসক অভিনন্দের সঙ্গে বাগদান সারার পরেও বৈশালীর সেই বিয়ে ভেঙে যায়। পরে বাগদানের ভিডিয়োও সমাজ মাধ্যম থেকে মুছে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে কি সম্পর্কের টানাপোড়েন বা মানসিক অবসাদই বৈশালীকে এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করল? উত্তর খুঁজছে দ্বিধাবিভক্ত বৈশালীর পরিবার। তবে কেন তাদের বিয়ে ভেঙেছিল সেই কারণ এখনও অধরা।
আরও পড়ুন: প্রয়াত অভিনেত্রী বৈশালী ঠক্কর, সুইসাইড নোটের সঙ্গে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ
এরপরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় ছিলেন বৈশালী। মাঝেমধ্যেই নিজের ছবি ভিডিয়ো শেয়ার করে নিতেন অনুরাগীদের সঙ্গে। ২০১৫ সালে ‘ইয়ে রিশতা কেয়া কহলাতা হে’ ধারাবাহিকের মাধ্যমেই অভিনয় জগতে পা রাখেন বৈশালী৷ সেখানে তাঁর চরিত্রের নাম ছিল সঞ্জনা। এরপর পর্দার সঞ্জনা পরিচিতি পান ‘সসুরাল সিমর কা’ ধারাবাহিকে কাজ করে। রবিবার ইন্দোরের বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।