দেখতে দেখতে মাঝ ডিসেম্বর এসে পড়ল। ক্যালেন্ডারের শেষ পাতাটাও এবার ফুরিয়ে আসার পালা। ৩৬৬টা সূর্যোদয় সূর্যাস্ত পেরিয়ে আনকোরা একটা বছরকে স্বাগত জানানোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে কলকাতা। তারই অংশ হিসেবে শহরে বসছে রাতভর নাটকের আসর। আসছে 'ইচ্ছেমতো পার্বণ'।
৩১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ন'টায় একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, সারা রাতের পার্বণ। আয়োজনে জনপ্রিয় নাট্যগোষ্ঠী 'ইচ্ছেমতো'। 'ঘুম নেই', 'হেনরি কোথায়', 'মন্টু ও মার্ক্স'-এর মতো নাটকের সৌজন্যে 'ইচ্ছেমতো'-র নাম এখন উচ্চারিত হয় কলকাতার তাবড় তাবড় নাট্যগোষ্ঠীর সঙ্গে একই সারিতে। শুধু কী বড়দের নাটক? ছোটদের নিয়ে কলকাতায়, কলকাতার বাইরে রাঁচিতেও নাটকের ওয়র্কশপের আয়োজন করেছেন উদ্যোক্তারা। সেই ইচ্ছেমতো-র উদ্যোগেই বর্ষ বরণের রাত হয়ে উঠবে স্মরণীয়।
থাকছে, 'ইচ্ছেমতো'-র নিজস্ব দু'টি প্রযোজনা, 'চিচিবাবা ল্যান্ড' এবং 'আনসেন্ট লেটার্স'। এ ছাড়া থাকছে নয়ে নটুয়ার 'বড়দা বড়দা', গড়জয়পুর সপ্তর্ষির প্রযোজনা 'মাটির জন্য', মা সুভাষিনী নাট্যসংস্থার 'বনবিবির পালা'।
বছর শেষের রাতটা যেন কচিকাঁচাদের জন্যেও মনে রাখার মতো হয়ে ওঠে, তা নিশ্চিত করতেই মঞ্চ দাপাবে এক ঝাঁক রঙিন খুদে শিল্পী।
সিনেমা, ওটিটি, লাইভ কন্সার্ট, পার্ক্সট্রিটের আলোর ঝলকানি, নাইট ক্লাবে পার্টির হাতছানি পেরিয়ে একাডেমীমুখো হবে এই প্রজন্ম? কী বলছেন 'ইচ্ছেমতো'-র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সৌরভ পালোধি? বলছেন, মানুষকে হলমুখী করাটা চ্যালেঞ্জ নয় মোটেই, বরং দিন দিন বাংলা নাটক দেখার দর্শক বাড়ছে। আর বছর শেষের রাতভরের নাটক মঞ্চায়নও তো এ শহরের সংস্কৃতির সঙ্গে মিশেই রয়েছে। "