অগ্নিপথের বিক্ষোভে রক্ত ঝড়েই গেল। শুক্রবার তেলঙ্গনার সেকেন্দ্রাবাদে পুলিশের গুলিতে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় আহত কমপক্ষে ১৫ জন। এদিন সকাল থেকেই কেন্দ্রের এই নীতির বিরোধিতায় স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভ দেখান কয়েক হাজার যুবক। সকালে স্টেশনে ঢুকে ট্রেনে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। দুপুরেও সেই একই অভিযোগ ওঠে। এবার জোর করে স্টেশনে ঢুকতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। তখনই পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ওয়ারাঙ্গেলের বাসিন্দা। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার সকাল থেকেই অগ্নিপথের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়। বিহার থেকেই শুরু হয় রেলকে নিশানা করার ঘটনা। এরপর উত্তরপ্রদেশের বালিয়া স্টেশনেও পোড়ানো হয় একটি ট্রেন। এই পরিস্থিতিতে অনড় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েদেন, অগ্নিপথ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবেই। উত্তরের গন্ডি পেরিয়ে সেই আঁচই ছড়িয়ে পড়েছিল দক্ষিণের রাজ্য তেলঙ্গনায়। সকাল থেকেই সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনের সামনে বিক্ষোভে সামিল হন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁরা মূলত বিভিন্ন জেলা থেকে জড়ো হয়েছিলেন। বেলা এগারোটার কিছু পরে পুলিশকে কার্যত বোকা বানিয়ে স্টেশনের মধ্যে ঢুকে পড়েন একদল যুবক। দু নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনের কামড়ায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এদিন জম্মুতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, বিক্ষোভ না দেখিয়ে লেখাপড়া করতে। কারণ, অগ্নিপথ কার্যকর হলে লাভবান হবেন দেশের যুবকরা।