গত শুক্রবার ছত্তিশগড়ের এক গভীর অন্ধকার কুয়োর মধ্যে পড়ে গিয়েছিল ১১ বছর বয়সী রাহুল সাহু (Rahul Sahu)। তারপর থেকে ৮০ ফুট গভীর সেই কুয়োর মধ্যে মোট ১০৪ ঘণ্টা কাটে রাহুলের (Rahul sahu)। ১৫ ফুট দীর্ঘ সুড়ঙ্গ তৈরি করে ১০৪ ঘণ্টার চেষ্টায় মঙ্গলবার গভীর রাতে উদ্ধার করা হয় তাকে। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, কুয়োর মধ্যে একটি সাপ ছিল, আর ছিল একটি ব্যাঙও।
গোটা গ্রামে পড়ে যায় কান্নাকাটি। খবর যায় পুলিশে (Police)। তৎক্ষণাৎ ডাক পড়ে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (NDRF)-এর আধিকারিকদের। সময় নষ্ট না করে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ, সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলের প্রতিনিধিরা। প্রায় ৫০০-এরও বেশি সদস্য সামিল হন ১১ বছরের কিশোরের উদ্ধারের কাজে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে মমতার ডাকে বৈঠক, অনিশ্চিত আপ, টিআরএস
তবে এই উদ্ধারকাজে আসল ‘হিরো’ একটি রোবট (Robot)। গুজরাট থেকে আনানো হয় ওই বিশেষ উদ্ধারকারী রোবটকে। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার গভীর রাতে রাহুলকে (Rahul Sahu) কুয়ো থেকে তুলে আনা হয়। এদিকে, এত দীর্ঘ সময় কুয়োর তলায় থাকায় শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়েছে রাহুলের। রয়েছে অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও। উদ্ধারের পরই রাহুলকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন সে।
২০০৬ সালে হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রের এক শিশু প্রিন্স (Prince) পড়ে গিয়েছিল কুয়োতে। সারা দেশ প্রার্থনায় বসেছিল শিশুটির জন্য। ৫০ ঘণ্টার নিরলস চেষ্টার পর উদ্ধার করা হয় তাকে।