প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট ৩১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। হিমাচল প্রদেশে একটানা বৃষ্টিতে সেখানে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে বন্যা, ভূমিধস এবং বাড়ি ধসের মতো ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই সেখানে ২২ মারা গিয়েছেন বলে খবর। নিহতদের মধ্যে উত্তরাখণ্ড ও ওড়িশায় চারজন এবং ঝাড়খণ্ডে এক বাসিন্দাও রয়েছেন।
শুক্রবার থেকে হিমাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ভূমিধস এবং হড়পা বানে এক পরিবারের ৮ সদস্য সহ ২২ জন মারা গেছে। রাজ্যে এই ধরনের ৩৬টি ঘটনায় মোট ১০ জন আহত হয়েছেন। মান্ডিতে মানালি-চণ্ডীগড় জাতীয় সড়ক এবং শোঘির শিমলা-চন্ডিগড় জাতীয় সড়ক সহ মোট ৭৪৩টি রাস্তায় যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। শুধুমাত্র মান্ডিতেই ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ১৩ জন মারা গেছে এবং ছয়জন নিখোঁজ, জানান ডেপুটি কমিশনার অরিন্দম চৌধুরী। নিখোঁজদের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন- Train Cancelled: চলবে ইন্টারলকিংয়ের কাজ, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বিলাসপুর ডিভিশনে বাতিল ৫২টি ট্রেন
উত্তরাখণ্ডে, শনিবার সকালেই মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়, নিখোঁজ ১০। বিভিন্ন নদীর সেতু ভেঙে বিপর্যস্ত এলাকা। নদীতীরবর্তী একাধিক গ্রাম থেকে মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন।
ওড়িশা সহ পূর্ব ভারতের কিছু অংশে বৃষ্টিতে মহানদী প্রণালীতে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ ৫০০টি গ্রামে ডুবে গেছে। মৃত্যু হয়েছে চারজনের। শুক্রবার রাত থেকে ওড়িশার উত্তরের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির জেরে আরও ক্ষতি হয়েছে। ভুবনেশ্বরের বাজারে সাপ্লাই চেন ব্যাহত হওয়ায় সবজির দাম বেড়েছে।