হাতে গোনা আর কয়েকদিন। তারপরেই বড়দিন। সেই আমেজ এখন সর্বত্র। আর তাতেই আরব সাগরে গা ভাসিয়েছিলেন পর্যটকরা। দুলছিলেন এক প্রমোদ তরীতে। একটা মরণ-ধাক্কা তাঁদের জীবনকে বদলে দিয়েছে। ভারতীয় নৌ-সেনার এক স্পিড বোট এসে ভেঙে দিয়েছে তাঁদের স্বপ্ন।
মুম্বইয়ের মাঝ সমুদ্রে এই দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। প্রথমেই এফআইআর করা হয়েছে ওই প্রমোদ তরীর চালকের বিরুদ্ধে। কারণ, মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা অনেকেই অভিযোগ করেছেন, ওই ফেরিতে লাইফ জ্যাকেট ছিল না।
ঘড়ির কাটায় তখন পৌনে চারটে। ইন্ডিয়া গেটের সামনে থেকে ফেরিতে উঠেছিলেন পর্যটকরা। যাচ্ছিলেন এলিফ্যান্ট কেভের দিকে। নীলকমল নামের ওই ফেরিতেই চেপেছিলেন পর্যটকরা। উল্টোদিক থেকে এসে ওই ফেরিতে ধাক্কা নৌ-সেনার একটি স্পিড বোট।
এক বিবৃতিতে ভারতীয় নৌ-সেনা জানিয়েছে, ওই স্পিড বোটের ইঞ্জিনের পরীক্ষার কাজ চলছিল। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারায়। তারপরে গিয়ে ধাক্কা মারে ওই লঞ্চটির গায়ে। সেই সময় ওই ফেরিতে ঠিক কত জন ছিল, তার হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে, উদ্ধার করা হয়েছে একশো জনের বেশি জনকে।
অভিযোগ, এর মধ্যেই ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা গৌতম গুপ্ত। মুম্বই বেড়াতে এসেছিলেন। মূলত তিনিই অভিযোগ করেছেন লাইফ জ্যাকেট না থাকার। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে লঞ্চের চালক। অভিযোগ করা হয়েছে, উদ্ধারে প্রায় আধ ঘণ্টা দেরি হয়েছে।
দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।