পুরীর জগন্নাথ দেবের রত্নভাণ্ডার থেকে উদ্ধার হল কয়েকটি দুর্লভ মূর্তি। বহু বছরের পুরনো ওই মূর্তিগুলি বিভিন্ন দামী ধাতু দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই মূর্তিগুলি স্থানীয় একটি স্ট্রংরুমে রাখা হবে।
রত্ন ভাণ্ডার খোলার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল । ওই কমিটির চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ রথ জানিয়েছেন, প্রায় ৫ থেকে ৭টি ছোটো ছোটো মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলিকে কোনওভাবেই স্পর্শ করা হয়নি। আপাতত ওই মূর্তিগুলির সামনে ছোটো প্রদীপ জ্বালিয়ে পূজা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মূর্তিগুলি স্ট্রংরুমে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে বাক্সে বন্ধ রাখার ফলে ওই মূর্তিগুলি কালো রঙের হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন অলঙ্কার সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়েছে ওই রত্নভাণ্ডার থেকে।
৪৬ বছর পর খুলে দেওয়া হল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার। রবিবার দুপুরে ওই রত্ন ভাণ্ডার খুলে দেওয়া হয়। ওড়িশা সরকারের তরফে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছিল। ওই কমিটির সদস্যরাই মন্দিরের ভিতরে গিয়ে রত্ন ভাণ্ডার খোলেন। ওই কমিটিতে ছিলেন, ওড়িশা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বিশ্বনাথ রথ, জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান প্রশাসনিক কর্তা অরবিন্দ পাধি। পুরাতত্ত্ব বিভাগের আধিকারিক ডি বি গদানায়েক এবং পুরীর মহারাজ গজপতি মহারাজের প্রতিনিধি সহ আরও কয়েকজন।
পুরীর রত্নভান্ডার মোট দুটি ভাগে বিভক্ত। তারমধ্যে একটি বাইরের চেম্বার যার নাম বহরা ভাণ্ডার এবং অন্য একটি ভিতরের চেম্বার। যার নাম ভিতরা ভাণ্ডার। ওই দুটি চেম্বার মিলিয়ে যাবতীয় গহনা রাখা হয়েছে।