রাজস্থানের উদয়পুরে যুগলের গায়ে ফেভিকুইক ঢেলে মারার অভিযোগ। তদন্তে নেমে হতবাক পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৫৫ বছরের অভিযুক্ত এক তান্ত্রিককে। অভিযোগ প্রতিশোধ নিতে তাঁর সামনেই এক যুগলকে যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করে ওই তান্ত্রিক। তারপর মিলনরত যুগলের উপর ঢেলে দেওয়া হয় ফেভিকুইক, তাতেই মৃত্যু হয় যুগলের।
ঘটনার তিন দিন পর বীভৎস অবস্থায় উদ্ধার করা হয় যুগলের নগ্ন দেহ, আঠার প্রভাবে দুই দেহের চামড়া উঠে আসতে শুরু করে। ৩০ বছরের রাহুল মিনা, ২৮ বছরের সোনু কুঁয়ার দীর্ঘদিন থেকেই অভিযুক্ত তান্ত্রিক ভালেশ কুমারের কাছে আসতেন। সেই সূত্রেই তাদের প্রেম এগোয়, অথচ দু’জনেই বিবাহিত।
এদিকে রাহুলের পরিবারের সুসম্পর্কের সূত্রে রাহুলের স্ত্রীয়ের প্রেমে পড়েন ওই তান্ত্রিক, এবং স্বামীর কুকীর্তির কথা স্ত্রীকে জানিয়ে দেয় ওই তান্ত্রিক। এরপরেই শুরু হয় গোলমাল। ভালেশের দাবি সব জানাজানি হওয়ার পর রাহুল এবং সোনু তাঁকে হুমকি দেন। নিজের অর্জিত সম্মান নষ্ট হওয়ার ভয়ে প্রতিশোধ নিতে তান্ত্রিক জানান, তাঁর সামনে যৌনতায় লিপ্ত হলে সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হবে রাহুল এবং সোনুর।
অভিযোগ, এরপর তারা যৌনতায় লিপ্ত হলে মিলনরত অবস্থায় তাদের গায়ে প্রচুর ফেভিকুইক ঢেলে দেয় ওই তান্ত্রিক। আর তাতেই মৃত্যু হয় তাদের। আঠা ছাড়িয়ে হাজার চেষ্টা করেও বেরোতে পারেনি যুগল। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে দুজনের গলায় ছুরি চালায় তান্ত্রিক, ঘটনার তদন্তে নেমে শিউরে উঠেছে পুলিশ।