গোটা দুনিয়া জুড়েই ক্রমে ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কি পক্স। গত সপ্তাহেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(হু)-র তরফে মাঙ্কিপক্স নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। ২০২২ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মাঙ্কি পক্স নিয়ে সতর্কতা জারি করল হু। সম্প্রতি, পাকিস্তানে প্রথম মাঙ্কি পক্স আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে ভারতেও। এই আবহেই অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসের পক্ষ থেকে নতুন নির্দেশাবলী জারি করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, জ্বরে আক্রান্ত হলে রোগীর শরীরে যদি র্যাশ বেরোয় এবং মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের সংস্পর্শে আসার ইতিহাস থাকে, তাহলে অবিলম্বে তাঁকে কড়া নজরে রাখতে হবে। এই রোগের লক্ষণগুলি হল- জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিতে টান, পিঠেব্যথা, ঠান্ডায় কাঁপা, নিদারুণ ক্লান্তি এবং দেহের চামড়ায় পরিবর্তন। তার সঙ্গে এই কথাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, আইসোলেশনে রাখা হবে সংশ্লিষ্ট রোগীকে। দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে চিকিৎসা করা হবে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত রোগীদের। এই হাসপাতালে মাঙ্কি পক্সের রোগীদের চিকিৎসার জন্য নতুন পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আশির দশকে প্রথম মাঙ্কি পক্সের খোঁজ মেলে। তার পর থেকে মূলত পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার দেশগুলিতেই এই রোগ সীমাবদ্ধ ছিল। কারণ মাঙ্কি পক্স পশুবাহিত রোগ। আর যে ধরনের পশুর শরীর থেকে এ রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা তাদের বাস মূলত গ্রীষ্মপ্রধান এলাকার রেন ফরেস্টে।মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে সারা গায়ের পাশাপাশি, লসিকাবাহেও ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। এই ভাইরাসের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
চলতি বছরের মে মাস থেকেই বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। পরিসংখ্যান বলছে, শুধু আফ্রিকাতেই ১৪ হাজারেও বেশি আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যু হয়েছে ৫২৪ জনের।