বাংলাদেশে থাকা ১২ থেকে ১৩ হাজার ভারতীয়কে এখনই সরানোর কোনও প্রয়োজন হচ্ছে না। মঙ্গলবার দিল্লিতে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে ডাকা সর্বদল বৈঠকে একথা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। কারণ, তিনি মনে করেন বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও হাতের বাইরে চলে যায়নি। তাই, এই মুহূর্তে সে দেশে থাকা ভারতীয়দের সরিয়ে আনার পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলেই দাবি করেছেন বিদেশমন্ত্রী।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদে শেখ হাসিনার ইস্তফার পর থেকেই ঢাকার উপর নজর রয়েছে দিল্লির। রাতেই গাজিয়াবাদে ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেই বৈঠকের নির্যাস মঙ্গলবার রাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সরকার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকা হবে। সেই মতো দিল্লিতে এদিন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে ছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও।
ওই বৈঠকেই বিদেশমন্ত্রী দাবি করেন, অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশের উপর গোড়া থেকেই নজর রেখে চলছে দিল্লি। গত দু মাসে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে আট হাজারের বেশি পড়ুয়াকে। সূত্রের দাবি, ওই বৈঠকে জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, দিল্লি চায় নিজের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে আরও কয়েকদিন সময় দেওয়া হোক শেখ হাসিনাকে। বিদেশমন্ত্রীর ইঙ্গিতেই স্পষ্ট আপাতত ভারতেই থাকছেন হাসিনা। কারণ, এই পরিস্থিতিতে তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে আপাতত অস্বীকার করেছে ব্রিটেন।