দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ারকার খুনের এখনও তদন্ত চলছে। এরমধ্যেই হার হিম করা আরও এক খুনের ঘটনা সামনে এল। এবার ঘটনাস্থল কর্নাটকের দাভানগেড়ে। অভিযোগ, এক ২৭ বছর বয়সী যুবক নিজের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুন করেছে। শুধু খুন-ই নয়, তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে স্ত্রীর দেহ জঙ্গলেও পুঁতে দিয়ে এসেছিল ওই যুবক।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রেশমি নামে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। এরপরই নিজের স্ত্রীকে খুন করার কথা স্বীকার করে মোহন নামে অভিযুক্ত ওই যুবক। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে অভিযুক্ত ওই যুবক আগে থেকেই খুনের পরিকল্পনা করে রেখেছিল। এমনকি স্ত্রীর দেহ পুঁতে ফেলার জন্য জঙ্গলে একটি নির্দিষ্ট জায়গা খুঁজে সেখানে কিছুটা মাটিও খুঁড়ে রেখে এসেছিল।
পরিবার সূত্রের খবর, গত বছরই রেশমি এবং মোহন কুমারের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের শুরু থেকেই সন্দেহে দানা বেঁধেছিল সম্পর্কের মধ্যে। বার বার রেশমির অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠার অভিযোগ তুলত মোহন। এরপর ক্রমেই সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। এমনকি একবার বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন রেশমি। পুলিশে অভিযোগও দায়ের করেছিলেন।
পরে মোহনের কাছে ফিরে আসেন। গত দেড় মাস আগে রেশমি নিজের মায়ের কাছে গিয়েছিলেন। তখনই রেশমিকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা সেরে ফেলে মোহন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে ঘুমের মধ্যে বালিশ চাপা দিয়ে রেশমিকে হত্য্যা করে মোহন।
এরপর রেশমির দেহ পুঁতে দেয় সে। এমনকি থানায় নিখোঁজ ডায়রিও করেছিল। অভিযোগ জানিয়েছিল, প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে রেশমি। কিন্তু রেশমির পরিবারের থেকে রেশমির উপর মোহনের অত্যাচারের কথা জানানো হয় পুলিশকে।
এরপর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, ঘটনার দিন রাতে মোহনকে রাত দুটোর সময় বাড়ি থেকে বের হতে দেখেন দু'জন। এরপর জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় মোহন। পুলিশ তার সঙ্গে জঙ্গলে গিয়ে রেশমির দেহ উদ্ধার করে।