বুধবার ৪৩ বছরে (BJP 43) পা রাখতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP Foundation Day)। সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) জানিয়েছেন, বুধবার থেকে আগামী সাতদিন প্রতিষ্ঠা সপ্তাহ পালন করবে দল। বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক কর্মসূচী নেওয়া হবে। পাঁচ রাজ্যে ভাল ফলে বিজেপি কর্মীদের উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। তাই ঘটা করেই এবার প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করবে দল। নানা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি করা হবে রক্তদান উৎসবও।
এবার বিধানসভা নির্বাচনে চার রাজ্যে বিজেপির সাফল্য। উত্তরপ্রদেশে পরপর দুবার ক্ষমতা দখল করল বিজেপি সরকার। বুধবার দলের সাফল্য নিয়ে বক্তব্য রাখতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও (Narendra Modi)। সেই ১৯৮০। লালকৃষ্ণ আদবানী (Lal Krishna Advani) ও অটল বিহারী বাজপেয়ীর (Atal Bihari Vajpayee) হাত ধরে প্রতিষ্ঠা হয় ভারতীয় জনতা পার্টির। সেই সময় লড়াইটা অনেক কঠিন ছিল। পরপর ব্যর্থতার মুখ দেখতে হয়েছে বিজেপিকে। কিন্তু অদমনীয় মনোভাব ও ৪৩ বছরের টানা লড়াইয়ে এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে দল। দুবার দেশের মসনদে এবং ১৮টি রাজ্যে একক অথবা জোট সরকারে আছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: ১৫ দিনে ১৩ বার মূল্যবৃদ্ধি! ফের জ্বলানির দাম বাড়ল দেশে
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর বিজেপির সাফল্য গগনচুম্বী। বিভিন্ন রাজ্যে ও দেশজুড়ে দলের ভাবধারা বইতে শুরু করেছে। তবে এই সোনার সময়ে দুটো গুরুত্বপূর্ণ ব্যর্থতা কাঁটার মতো বিঁধেছে দলকে। রাজধানী দিল্লি ও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বাংলায় ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির। কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে কোভিড মহামারী, বেকারত্ব, কৃষক আন্দোলন, এনআরসি সহ একাধিক ইস্যু। অযোধ্যার রামমন্দির নিয়েও কম কটাক্ষ শুনতে হয়নি বিজেপিকে। তবে ক্ষমতায় থাকার ১০ বছরে বিজেপির সম্পদের পরিমাণ হু হু করে বেড়েছে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার রিপোর্ট বলছে, জাতীয় ও আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে ৭০ শতাংশ সম্পদ বিজেপির হাতে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে বিজেপির সম্পদের পরিমাণ ৮৭৪৭ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা।
সব মিলিয়ে দেখতে গেলে, বিজেপির ৪৩ বছরের যাত্রাপথ বর্তমান প্রেক্ষিতে অনেকটাই মসৃণ। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। এরমধ্যে তার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিভিন্ন রাজ্যে কর্মসূচি ও প্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে কাঁটে কি টক্কর দিতে পারে বিরোধীরা। বিজেপিকে মসনদ থেকে নামানোর জন্য জোট বেঁধেছে দেশের সব বিরোধী দল। যার মধ্যে এক নম্বরে আছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরপ্রদেশে আছেন অখিলেশ যাদব ও মায়াবতীর মতো নেতৃত্ব। দক্ষিণে আছেন কেসিআর, চন্দ্রবাবু নাইডু, স্তালিনের মতো নেতৃত্বরা। মহারাষ্ট্র থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে শিবসেনা। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকেই পাখির চোখ করতে চাইছে দল।